রাত যত ভীর হয়েছে, চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বেড়েছে। এসএসসি ভবন ঘিরে ধরে 'হিউম্য়ান চেন' তৈরি করেছেন প্রতিবাদীরা। এরই সঙ্গে এসএসসি ভভনের দুটো গেট বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্ষোভ প্রদর্শনরত চাকরিহারারা। এদিকে এসএসসি ভবনে আটকে পড়া কর্তারা ততক্ষণে বুঝে গিয়েছেন যে রাতে সেখানেই থাকতে হতে পারে। এই আবহে হোটেল থেকে খাবার অর্ডার করা হয়েছিল। তবে সেই খাবার এসএসসি ভবনে ঢুকতেই দিলেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা। শুধু তাই নয়, মাটিতে ফেলে সেই খাবার নষ্ট করেন প্রতিবাদীরা।
আন্দোলনরত চাকরিহারাদের বক্তব্য, তাঁরা সারাদিন না খেয়ে সেখানে বসে আছেন। এই আবহে এসএসসি কর্তারা কীভাবে খাবার খান? তাঁদের বিবেক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে জলও আর নেই। এই গরমে বিনা জলে সেখানে তাঁরা বসে আছেন। এই আবহে এসএসসি কর্তাদের অর্ডার করা খাবার দেখে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে যান তাঁরা।
এদিকে আন্দোলনের মুখে এসএসসি গভীর রাতে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে তারা। এক বিবৃতি জারি করে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, '২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে, এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে। এবং বিভাগ কর্তৃক জানানো হচ্ছে, যে শিক্ষকেরা চাকরি করেছেন, তাঁদের বেতন বর্তমান ব্যবস্থা অনুসারে বিতরণ করা হবে।' তবে এতে মন গলেনি আন্দোলনরত চাকরিহারাদের। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, যোগ্যদের সার্টিফায়েড তালিকা প্রকাশ না করা হলে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ জারি রাখবেন। এই আবহে রাতভর রাস্তায় বসে রইলেন তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে এই নিয়ে বচসাও হয়েছে তাঁদের। রাত ১টা নাগাদ পুলিশের সঙ্গে এক বার ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয় আন্দোলনকারীদের। তবে টলানো যায়নি চাকরিহারাদের।
এদিকে রাতে বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা নাকি এসএসসি ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে বের করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ আন্দোলনরত শিক্ষকদের। সেই সময় পুলিশকে বাধা দেন শিক্ষকরা। চাকরিহারাদের অভিযোগ, তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।