আগামী নভেম্বরে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই পরীক্ষাকে ঘিরেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বছর থেকে প্রথমবারের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ এবং অন্যান্য সহযোগী পুলিশকর্মীরা সরাসরি কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর জন্য নির্দিষ্ট কোটা রাখা হয়েছে তাঁদের জন্য।
আরও পড়ুন: ‘রাতভর লাইনে দাঁড় করিয়ে চড়া রোদে দৌড়’, কনস্টেবলের পরীক্ষায় ‘মৃত ১০ প্রার্থী’
প্রশাসন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে নিয়েই নবান্ন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। এত দিন পর্যন্ত সহযোগী পুলিশকর্মীদের কনস্টেবল নিয়োগে বসার নিয়ম ছিল না। ফলে স্থায়ী চাকরির সুযোগ না থাকায় বহু তরুণ-তরুণী হতাশ হয়ে পড়তেন। অবশেষে তাঁদের জন্য ১৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে অনুমান, এ বার অন্তত ৫ হাজার সহযোগী কর্মী পরীক্ষায় বসবেন। তবে তাঁদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ প্রস্তুতি। কারণ, প্রতিদিন থানার কাজে, ট্রাফিক সামলানো কিংবা নিরাপত্তার দায়িত্বে ব্যস্ত থাকার কারণে আলাদা করে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় মিলছে না। এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই ওয়েলফেয়ার কমিটি অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে, যাতে অবসর সময়ে কর্মীরা বাড়ি থেকেই পড়াশোনা চালাতে পারেন।