সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের জাঠা কলেজ স্ট্রিট পৌঁছতেই গোটা চত্ত্বর লাল পতাকায় মুড়ে গেল। বহুদিন পর বাম ছাত্র সংগঠনের সমাবেশে এমন জোয়ার দেখা গেল। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দেশব্যাপী এই জাঠার আয়োজন করা হয়েছে। সেটাই কলকাতায় প্রবেশের পরে জাঠার প্রতিবাদের তীব্রতা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আনিস খান ইস্যু থেকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে বাম ছাত্র–যুবরা সুর সপ্তমে চড়ায়। আজ, শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটে হচ্ছে বিশাল সমাবেশ।ঠিক কী ঘটেছে কলেজ স্ট্রিটে? হাওড়া, শিয়ালদা, শ্যামবাজার, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার–সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল যায় কলেজ স্ট্রিট চত্ত্বরে। এই বিষয়ে ছা্ত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস দাবি করেন, আজ ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে। গত ২৯ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে মেয়ো রোডে বিশাল সমাবেশ করেছিল ঘাসফুল শিবির। যেথানে উপস্থিত ছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পাল্টা দিতে কলেজ স্ট্রিটে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে বামেরা বলে মনে করা হচ্ছে। কী ছিল জাঠার স্লোগান? শিক্ষা বাঁচাও, সংবিধান বাঁচাও, দেশ বাঁচাও—স্লোগানকে সামনে রেখে ১ অগস্ট এসএফআইয়ের জাঠা শুরু হয় সারা দেশজুড়ে। উত্তর এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের দুটি জাঠা এই রাজ্যে প্রবেশ করেছে। সেই জাঠা এদিন কলেজ স্ট্রিটে পৌঁছতেই লালে লাল হয়ে যায় গোটা এলাকা। লাল পতাকা, লাল টুপি, লাল বেলুনে ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। গোটা কলেজ স্ট্রিট কার্যত ছাত্র–যুবদের দখলে। দূর–দূরান্ত থেকে এসেছেন এসএফআইয়ের কর্মী–সমর্থকরা। প্রতীকুর রহমান, দীপ্সিতা ধর, সন্দীপন দেব, সঙ্গীতা দাস– সহ অন্যান্য এসএফআই নেতৃত্বদের এদিন সমাবেশে বক্তব্য রাখার কথা। কলেজ স্ট্রিটে এসএফআইয়ের প্রকাশ্য সভায় আজ প্রধান বক্তা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।ঠিক কী দাবি এসএফআইয়ের? এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মোদী সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে। তৈরি করতে হবে বিকল্প শিক্ষানীতি। রাজ্যে শিক্ষা–সহ সব ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে হবে। বিকল্প শিক্ষানীতির দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠন ইতিমধ্যে রাজ্যের এক কোটি ছাত্রছাত্রীর মতামত সংগ্রহ করেছে। সমাবেশে সেই মতামত সম্বলিত বিকল্প শিক্ষানীতির খসড়া প্রকাশ করা হবে বলে জানান ছাত্র–নেতারা। চারদিক থেকে মিছিল আসায় শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ ফের এসএফআইয়ের সভা ঘিরেও কলকাতা স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।