গাড়িটা গিয়ে সজোরে ধাক্কা দিয়েছিল মেট্রোর পিলারে। এরপর সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তিনজনকে। প্রণয় দে, প্রতীপ দে ও এক কিশোরকে। এরপর জানা যায় তাঁদের ট্যাংরার বাড়িতে মৃত অবস্থায় রয়েছেন তিনজন।
গোটা ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। আহত প্রণয় দে, প্রতীপ দে ও এক কিশোরকে ভর্তি করা হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটা বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার রাতে সেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রণয় দে-কে ভর্তি করা হল এনআরএসে। তবে প্রতীপ দে এখনও ভর্তি রয়েছেন ওই বেসরকারি হাসপাতালেই।
পুলিশই প্রণয়কে ভর্তি করায় এনআরএসে। কিশোরের জন্যও অন্য হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করা যায়নি।
সূত্রের খবর শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রতীপের চিকিৎসার খরচ হয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা। প্রণয়ের চিকিৎসার জন্য় খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। শুক্রবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দে ভাইদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তারা দায়িত্ব নিতে চায়নি। এরপরেই ট্যাংরা ও আনন্দপুর থানার পুলিশকে প্রণয় ও প্রতীপকে দ্রুত ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অনুরোধ করা হয়। তবে বিল মেটানো যায়নি। তবে অতি বিশেষ পরিস্থিতির জেরে কর্তৃপক্ষ ওই দুই রোগীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।