আরজি কর কাণ্ড থেকে শুরু হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ভাবমূর্তির গ্রাফ যেন তখন থেকেই নিম্নমুখী। সম্প্রতি আবার কসবায় শিক্ষকের বুকে লাথি মেরে নতুন সমালোচনার মুখে পুলিশ। এরই মাঝে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে পুলিশের আরও এক 'কীর্তি'। অভিযোগ, এক ট্রাফির সার্জেন্টকে ডিজিলকারে থাকা লাইসেন্স দেখানো সত্ত্বেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। লাইসেন্সের হার্ডকপি দেখতে চান। এই নিয়ে বচসা হয় এবং সেই বাইক আরোহীকে থাপ্পড় মারেন এক এএসআই। এদিকে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ডিপার্টমেন্ট। (আরও পড়ুন: রাত ১টার সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চাকরিহারা শিক্ষকদের, কী বললেন ডিসি?)
আরও পড়ুন: হোটেল থেকে অর্ডার করা হয়েছিল খাবার, SSC ভবনে ঢুকতে দিলেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা
রিপোর্ট অনুযায়ী, সুপর্ণ অধিকারী নামক এক যুবক একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন ফেসবুকে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তুলোধনা করেছে সেই অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাঁশদ্রোণী পুলিশ স্টেশনের এএসআই। তবে তিনি সেখানকার নিযুক্ত সার্জেন্ট নন। তিনি ট্রাফিক ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত নন। এই আবহে ডিসি (ট্রাফিক) ইলওয়াদ শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও বলেন, 'এফবি পোস্ট নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।' এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত এএসআই নাকি দাবি করেছেন, ভাইরাল ভিডিয়োতে স্পষ্ট নয় যে তিনি কাউকে থাপ্পড় মেরেছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি সেই যুবকের দিকে এগিয়ে গেলে তাঁর গায়ে হাত তোলেননি। এদি লালবাজার সেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের লিখিত জবাবের অপেক্ষায় আছে। (আরও পড়ুন: যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে তদন্তে পুলিশ)
আরও পড়ুন: 'ধর্মনিরপেক্ষতার নামে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের তোষণের রাজনীতি করছেন...'
দাবি করা হচ্ছে, এক বাইক আরোহী বিনা হেলমেটে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ধরেছিলেন সেই পুলিশ আধিকারিক। এদিকে কেস দেওয়ার সময় সেই বাইক আরোহীর লাইসেন্স দেখতে চান সেই পুলিশকর্মী। সেই বাইক আরোহী নাকি তখন মোবাইলে ডিজিলকারে থাকা তাঁর লাইসেন্স দেখান। তবে পুলিশকর্মী সেটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। তিনি বারবার বলতে থাকেন 'লাইসেন্স দেখান, কেস নিয়ে চলে যান'। এদিকে পুলিশকর্মীকে না বোঝাতে পেরে সেই বাইক আরোহী বলেন, 'তাহলে অনলাইনে কেস পাঠিয়ে দিন'। এরপর দু'দনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ভাইরাল ভিডিয়োতে (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি) দেখা যায়, সেই পুলিশকর্মী তেড়ে আসেন। এরপর হঠাৎ বাইক আরোহীর হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। দাবি করা হয়, পুলিশকর্মীর থাপ্পড়ের জেরেই বাইক আরোহীর হাত থেকে ফোন পড়ে যায়।