২২ দিনের উদ্বেগের অবসান। পাকিস্তান আটক করেছিল বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউকে। অবশেষে তাকে দেশে ফেরাতে বাধ্য় হল পাকিস্তান। পাক রেঞ্জার্সরা তাকে সীমান্ত পথে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণম। তাঁর ফিরে আসার খবরে এলাকায় উৎসবের পরিবেশ। মুখ্য়মন্ত্রী ফোন করেছিলেন বাড়িতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফোন করেছিলেন পূর্ণমের বাবাকে। দেশে ফিরে এসেছেন পূর্ণম কুমার সাউ। অত্যন্ত খুশি পরিবার। মিষ্টি বিলি হচ্ছে পাড়ায়।
কী বলছেন পূর্ণম কুমার সাউয়ের বাবা?
পূর্ণম কুমার সাউয়ের বাবা ভোলানাথ সাউ বলেন, ‘আনন্দ হচ্ছে। সকলে মিলে অত্যন্ত আনন্দিত। সবাইকে ধন্য়বাদ জানাব। খবর পেয়েছি ছেলে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছে। আমি সকাল ৮টা সাড়ে ৮টা নাগাদ খবর পেয়েছি। বিএসএফ থেকে খবর দিয়েছিল। অনেক ভালো লাগছে। খুব খুশি আছি। সবাই মিলে চেষ্টা করেছে। সিএম পর্যন্ত করেছে। এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও চেষ্টা করেছেন। ’
‘অপারেশন সিঁদুর থামার পরে ছেলে এল। এখনও দরকার। এখনও জঙ্গিরা শেষ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য় সরকারকে বলব যত তাড়াতাড়ি এই জঙ্গিদের শেষ করুন। এতে ভারত শান্তিতে থাকবে। আমাদের দেশ শান্তিতে থাকবে। পাবলিক শান্তিতে থাকবে। ’
তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষার যত লোকজন রয়েছে সকলকে ধন্য়বাদ জানাব। দেশকে রক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে যান। আমার ছেলে আবার দেশরক্ষার জন্য যাবে। আমার ছেলে আবার যাবে। ছেলে যেখানে ছিল সেখানেই যাবে। আমি কোনও দিন বারণ করব না। দেশের জন্য তুমি জান দিয়ে দাও। যুদ্ধ লাগলে আমার ছেলে যাবে। আবার রক্ষা করার জন্য় যাবে আমার ছেলে। ভারত মায়ের জন্য় আমার ছেলে বলিদান হয়ে যাক সেই চিন্তা আমি করি না। আমার ভারত মাকে রক্ষা করতে পাঠাব। বাড়ি ফেরার পরেই আমি পাঠাব, যাও দেশের জন্য তুমি, দেশকে রক্ষার করার জন্য় যাও। ’
কার্যত সাহসী বাবার বীর সন্তান। পূর্ণমের স্ত্রী অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, কবে আসবে এই চিন্তা হচ্ছিল। অপারেশন সিঁদুরের পরে
দেখুন সিএম ম্যাডাম আমার স্বামীকে ভাই বলে ডাকছিলেন। তিনি খবর নিয়েছিলেন।
পূর্ণমের স্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি আমার স্বামীর অত্যন্ত ভালোবাসা। দেশের সেবার জন্য আবার যাবে স্বামী। মোদীজি সিঁদুর ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে অনেক ধন্য়বাদ। বললেন রজনী সাউ। বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউয়ের স্ত্রী।