পহেলগাঁও হামলার জেরে নিরীহ মানুষজনের প্রাণ গিয়েছিল। যার প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭ মে মাঝরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান করে ৯টি পাক জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখেছে পাকিস্তান। পাল্টা এখন তারাও হামলা করতে শুরু করেছে। যার বারবার অত্যন্ত দক্ষতা নিয়ে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেশের সীমান্তের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া ১০টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তার পরই বাংলার কারা দফতর কড়া নির্দেশ জারি করেছে।
রাজ্যের কারা দফতর দেশের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ করেছে। এখানে বহু পাকিস্তানের অপরাধীরা বন্দি অবস্থায় রয়েছে। এখন ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে তারা কোনও ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে মতামত গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও কিছু পরামর্শ দেন। তারপরই প্রশাসন সূত্রে খবর, শীর্ষ অফিসাররা নানা রাজ্যের কারা দফতরগুলির সঙ্গে কথা বলেছে। সেখানকার জেলে যে সকল পাকিস্তানের জঙ্গিরা বন্দি তাদের উপর বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বসিরহাটে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো, চালু হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর
এখন পশ্চিমবঙ্গের জেলে প্রায় আটজন পাকিস্তানের জঙ্গি বন্দি রয়েছে। তাঁদের মধ্যে জাভেদ মুন্সি, শাহবাজ ইসমাইল, মহম্মদ মসিউদ্দিন প্রত্যেকেই কুখ্যাত জঙ্গি হিসাবে পরিচিত। এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে সেই সুযোগে তারা কোনও ষড়যন্ত্র ঘটাতে পারে। এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছে মহম্মদ মসিউদ্দিন আইএস জঙ্গি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর জিনিস ছুড়ে মারার অভিযোগ রয়েছে। তাই সকলের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ সর্বদাই তটস্থ।