বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজটে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। কোনও কোনও দিন ঘণ্টাখানেকও নাকি লেগে যাচ্ছে এই মোড় পার করতে। তবে শীঘ্রই চিংড়িঘাটা মোড়ের যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থায়ী সমাধানসূত্র বের করা হবে বলে আশ্বস দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভর্মা। তিনি বলেন, 'চিংড়িঘাটায় যানজট নিয়ে বেশ সমস্যা হচ্ছে। কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিছু বিকল্প জায়গা দেখা হচ্ছে। পরকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলেই পাকাপাকি ভাবে যানজটের সমস্যা মিটবে। যান চলাচলে গতি আসবে।' তবে ঠিক কী বিকল্পের কথা ভাবা হচ্ছে, সেই বিষয়ে বিশদ কোনও কিছু বললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। (আরও পড়ুন: এসি লোকালে শিয়ালদা থেকে দমদম যেতে পড়বে ৩৫ টাকা, টিকিট না কেটে উঠলে জরিমানা কত?)
কলকাতার কমিশনারের কথায়, 'সারা বছর ২৪ ঘণ্টা আমরা আমরা যান চলাচলের ওপর নজর রাখি। বৃষ্টির কারণে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে খুব দ্রুত এর সমাধান বেরিয়ে যাবে। বিধাননগর থেকে কলকাতা অভিমুখে যে ট্র্যাফিক আসছে, সেটা যাতে সচল থাকে সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য আপাতত। কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হয়েছে। তবে বিশদ এখনই বলছি না। আশা করছি ওটা বাস্তবায়িত হলে অনেকটাই সমস্যা মিটে যাবে। তখন চিংড়িহাটাতেও ট্র্যাফিকের সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।' (আরও পড়ুন: বিহার নির্বাচনের প্রচারে মমতা? রাহুলের প্রস্তাবে কার্যত 'দিশাহীন' বঙ্গ কংগ্রেস)
আরও পড়ুন: বসিরহাটে তৃণমল নেতার হাতে হেনস্থার শিকার আইপ্যাকের ২ কর্মী, ছোড়া হয় চেয়ার
উল্লেখ্য, সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরের নিক্কো পার্ক থেকে চিংড়িঘাটা মোড়ের ইএম বাইপাসের দূরত্ব ১ কিলোমিটারের মতো হবে। তবে এই রাস্তাতেই এত যানজট তৈরি হচ্ছে, যে অফিস ফেরত যাত্রীরা তিতিবিরক্ত হয়ে পড়ছেন। এই আবহে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, চিংড়িঘাটা মোড়ের একটি বহুতল ভেঙে নতুন রাস্তা বার করার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। কলকাতার কমিশনার সেই পরিকল্পনার বিষয়েই বলেছেন কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে এই রাস্তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে যাতে নিক্কো পার্কের দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে সায়েন্স সিটির দিকে পাঠানো সহজ হয়। জানা গিয়েছে, কেএমডিএ, কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এই রাস্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নাকি বৈঠক হয়েছে নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ ও বিধাননগর পুলিশের। এদিকে চিংড়িঘাটা মোড়ে যে বাড়িটি ভাঙার কথা চলছে, সেখানকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও নাকি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।