সদ্য তৃণমূলের লোকসভার নেতা হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই নাকি দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘ একঘণ্টার একান্ত বৈঠক করেছেন তৃণমূলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, অভিষেককে নাকি নিজে ফোন করে রাহুল গান্ধী তাঁর গৃহপ্রবেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এদিকে বৈঠকে নাকি রাহুল প্রস্তাব দেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর পটনায় অনুষ্ঠিত হতে চলা বিরোধীদের সমাবেশে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন। (আরও পড়ুন: বসিরহাটে তৃণমল নেতার হাতে হেনস্থার শিকার আইপ্যাকের ২ কর্মী, ছোড়া হয় চেয়ার)
উল্লেখ্য, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সম্পর্ক মাঝে মাঝেই শীতল হয়ে পড়ে। বাংলায় কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করায় মমতা-অভিষেকের নিশানায় থাকে কংগ্রেস। তবে দিল্লিতে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক ভালো। এই আবহে রাহুলের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অভিষেক এবং তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েনকে। এদিকে বাংলার মতো বিহারেও কংগ্রেসের জোটে আছে বামেরা। তবে বিহারে বামেদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হল সিপিআইএমএল। তারা আবার বাংলায় তেম শক্তিশালী না হলেও কতকটা 'মমতাপন্থী'। এই আবহে মমতা যদি আসন্ন জনসভায় অংশ নিতে পটনায় যান, তাহলে বাংলায় সিপিএম অস্বস্তিতে পড়তে পারে। এদিকে বাংলায় কংগ্রেসও কার্যত দিশাহীন।
বাংলায় কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, 'বাংলায় একলা চলব, না তৃণমূলের সঙ্গে চলব তা নিয়ে এআইসিসি এখনই কোনও নির্দেশ দেয়নি। তবে আগামী দিনে বাংলা নিয়ে এআইসিসি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত।' এর আগে বামেদের সঙ্গে জোট করে বাংলায় ১টি লোকসভা আসন জিততে পেরেছে কংগ্রেস। ২০২৪ সালে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন ইশা খান চৌধুরী। তবে সেই আসনে বামেদের সাহায্য ছাড়াও হয়ত নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে পারত কংগ্রেস। সেখানে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের জন্য কাজ করে 'গনি খান ম্যাজিক'। তবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী গত লোকসভা ভোটে হেরে যান প্রথমবারের মতো। এর আগে তিনি কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন লোকসভায়। এহেন নেতার জন্য রাহুল গান্ধী একবারের জন্যে প্রচার করতে আসেননি বাংলায়। যা নিয়ে তখনও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে আসন্ন বিধনসভা নির্বাচনে ফের কংগ্রেস বাংলায় 'শূন্য' থাকবে, নাকি খাতা খুলতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এরই মাঝে এই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা হয়ত ভাবাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেও।