সিআইডিকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আলাদা কেস ডায়েরি প্রস্তুত করে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।বিচারপতি এও স্পষ্ট করেন, প্রয়োজনে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালতের ভাষায়, এত গুরুতর বিষয়ে এই ধরনের অবহেলা চলতে পারে না।
কলকাতা হাইকোর্ট
পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি আর পুরুলিয়ার আড়শা, দুই জেলার তিনটি রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠে আসে মামলাগুলি। আদালতের মন্তব্য, ময়নাতদন্ত থেকে শুরু করে পুলিশের তদন্তে এমন গাফিলতি হয়েছে যে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ধরনের অবহেলা আদালত বরদাস্ত করবে না।
খেজুরিতে বিজেপি কর্মী সুজিত দাস ও সুধীর পাইকের মৃত্যু নিয়ে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এদিন পেশ হয়। প্রথম রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় রিপোর্টে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্নের উল্লেখ আছে। এত বড় গরমিল দেখে বিস্মিত আদালত প্রশ্ন তোলে, একই দেহ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএমের মতো প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে এত পার্থক্য কীভাবে সম্ভব? বিচারপতির মন্তব্য, এতে মনে হচ্ছে জেলা হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা হয় অভিজ্ঞ নন। নয়তো তাঁদের স্থানীয় চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে হচ্ছে।পুরুলিয়ার আড়শার এক যুবকের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও একই ছবি। জেলা হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে এইমস কল্যাণীর রিপোর্টে আকাশ পাতাল তফাত ধরা পড়েছে। বিচারপতি এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি কোনও চাপেই চিকিৎসকেরা এ ধরনের রিপোর্ট দিচ্ছেন?