চলে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাম জমানার শেষ মুখ্য়মন্ত্রী। রাজ্যকে নিয়ে নানা স্বপ্ন দেখতেন তিনি। সেই স্বপ্নে আন্তরিকতা ছিল ১০০ শতাংশ। তারপরেও সফল হল না স্বপ্ন। কারণটা কী? কোথাও কি কাজ করত ক্ষমতার দম্ভ?
সেই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা আজ আর নেই। তাঁর নানা স্বপ্ন কার্যত অধরাই থেকে গেল। বিশেষত বাংলায় নতুন করে শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে গিয়ে একের পর এক ধাক্কা। একের পর এক ধাক্কায় নড়ে গিয়েছিল বাম দুর্গের ভিত।
সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম। গোটা বাংলায় শিল্পায়নের জোয়ার আনতে চেয়েছিলেন বুদ্ধবাবু। একেবারে অনড় প্রতিজ্ঞা। রাজ্য়ের উঠতি যুবক যুবতীদের হাতে কাজ তুলে দিতে হবে। কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। সেই সময় বাম নেতৃত্বের অনেকেই বলতেন, পরে বাংলার মানুষ বুঝবেন এই বিরোধিতা আসলে তাদের বড় ভুল। কার্যত সেই শিল্পায়নের উপর ভিত্তি করে বাম দুর্গের ভিতকেও আরও মজবুত করার চেষ্টা করেছিল সিপিএম। কিন্তু ফলাফল হল ঠিক উলটো।
সিঙ্গুরে এসেছিল টাটা গোষ্ঠী। শিল্প কারখানা তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়েছিল। কিন্তু বিরোধীরা এরপর মাঠে নামেন। দীর্ঘ আন্দোলন। একের পর এক ঘটনা। কিন্তু অনড় বামফ্রন্ট সরকার। শিল্প গড়তেই হবে। জমি সংক্রান্ত জটও অনেকটা কাটিয়ে ফেলেছিলেন বুদ্ধবাবুরা। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলনের জেরে টলে গিয়েছিল বাম দুর্গের ভিত।