এখন সংঘর্ষ বিরতি। কিন্তু এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে শাক–সবজির দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বৈঠক করে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন আর না বাড়ে। একই সঙ্গে নির্দেশ দেন, খাদ্যদ্রব্য যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রাখতে। কিন্তু চুপিসারে ব্যবসায়ীদের একাংশ সবজি, ডিম এবং মাছের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ কানে আসতেই শহর থেকে জেলার বাজারগুলিতে হানা দিতে শুরু করেছে টাস্ক ফোর্স। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ভিডিয়ো কনফারেন্স করে নির্দেশ দেন, আগামী তিন মাস যেন জেলাগুলিতে শাক–সবজির ঘাটতি না হয়। সোমবার থেকে সেই কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। কতটা শাক–সবজি মজুত আছে, আলু–পেঁয়াজ কতটা মজুত আছে, মাছ–মাংস–ডিমের অবস্থা কেমন? এসব মজুতের হিসেব নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা–সহ জেলাগুলিতে আজও টাস্কফোর্সের প্রতিনিধিরা বাজারগুলিতে অভিযান চালিয়েছেন। তাতে যে হিসেব উঠে এসেছে, বাজারগুলিতে জিনিসপত্রের দাম মোটের উপর স্বাভাবিক আছে। কিছু দাম বাড়লেও তা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। তাই আগামী দিনে আর যাতে দাম না বাড়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে’, এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন এমএ বেবি
মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি টাস্কফোর্স উল্টোডাঙার পাইকারি এবং খুচরো বাজারে যায়। সেখানে সব বিষয় খতিয়ে দেখে টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ছোট–বড় সব বাজারেই অভিযান চালাচ্ছি। আপাতত দাম নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। পটল–ঢেঁড়শ–ঝিঙের মতো গ্রীষ্মের সবজির দাম পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ১৮–২০ টাকার মধ্যে আছে। খুচরো বাজারে সেটা ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজও এখন সস্তা।’
একাধিক জেলার বাজারেও পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হানা দেয়। চাল জেলায় যথেষ্ট উৎপাদন হচ্ছে কিনা, সেটা নিয়মিত খোঁজখবর করা হবে। উৎপাদিত আনাজ, চাল বা শাক–সবজি ভিন রাজ্যে এবং ভিন দেশে পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলার ব্যবসায়িক সংগঠনগুলিকে জানানো হয়, কোনও পণ্যের অভাব হলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের নজরে আনতে হবে। রবীন্দ্রনাথ কোলের বক্তব্য, ‘খুচরো বিক্রেতাদের জানানো হয়েছে, ১৫ টাকায় জিনিস কিনে সেটা ২০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। গত কয়েক মাসে চালের দাম অনেকটা বেড়েছে। সেই দামও নাগালে রাখতে হবে।’