একটানা ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গ। পাহাড়ে ধস, সমতলে নদীর প্লাবন দুই মিলে অচল হয়ে গেছে বহু অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবন। তিস্তা নদীর জল বিপজ্জনক সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, সংরক্ষিত এলাকায় দেওয়া হয়েছে হলুদ সংকেত।
আরও পড়ুন: ফুসফুসে কাদা, গলায় আটকে পাথর! উত্তরকাশীর বিপর্যয়ে মানসিক লড়াই বিধ্বস্তদের
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির পরিমাণ ২১০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে, কুমারগ্রামে ২৪০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মাথাভাঙা, দিনহাটা, কালচিনি, শালবাড়ি সহ আটটি জায়গায় অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। এখানে প্রতিটিতেই ১৫০ মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ধসে ভেঙে পড়েছে কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান রুট ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ৭১৭এ সড়ক। সেভকের শ্বেতীঝোরা, ২৭ মাইল ও ২৯ মাইল এলাকায় রাস্তার বড় অংশ তিস্তার গর্ভে তলিয়ে গেছে। কালিম্পংয়ের কাটারিয়ায় পাহাড়ের মাথা থেকে নেমে আসা পাথরের আঘাতে ৭১৭এ রাস্তাও বন্ধ হয়ে পড়েছে। দার্জিলিংয়ের গিন, লামাহাটা, বৌদ্ধগ্রাম, টুংসুং এবং মিরিকের কিছু অঞ্চলও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত।
সমতলে তিস্তার পাশাপাশি জলঢাকা, মানসাই, কালজানি, মহানন্দা, বালাসন, পঞ্চনই, রক্তি এবং তোর্ষা নদীর জলস্তর দ্রুত বেড়ে চলেছে। প্লাবিত হয়েছে ক্রান্তি, মালবাজার ও হলদিবাড়ির একাধিক গ্রাম। সুকনায় পঞ্চনই নদী ভেঙে দিয়েছে একটি সেতু। এছাড়াও শীতলকুচির বড়মাসিতে রত্নাই নদীর বাঁধ, শালবাড়িতে ধরলা নদীর বাঁধ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তোর্ষা নদী পুণ্ডিবাড়ির বাঁশদহ নাটাবাড়ি এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার জমি ক্ষতিগ্রস্থ নিয়েছে।