মুর্শিদাবাদের রানিনগরে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হল এক কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের সোনা। সোমবার দুপুরে রানিনগরের ডুবাপাড়ায় তল্লাশি চালিয়ে ১০টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করে রানিনগর থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত সোনার মোট ওজন প্রায় ১ কেজি ১৬৬ গ্রাম। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম শিবনাথ মণ্ডল, তিনি রাজানগরের বাসিন্দা এবং লালন মণ্ডল, তিনি সাগরপাড়ার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: DRI অফিসাররা ১০-১৫ বার থাপ্পড় মেরেছিলেন তাঁকে! দাবি ‘নির্দোষ’ রানিয়ার: রিপোর্ট
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে গোপন খবর আসে যে ডুবাপাড়ার দিক দিয়ে মোটরবাইকে করে এক যুবক সোনা পাচারের চেষ্টা করবে। সেই সূত্র ধরে এলাকাজুড়ে নজরদারি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর সন্দেহজনক এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমে তাঁর কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপর তাঁর বাইক তল্লাশি করেও কিছু না মেলায় শরীর তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানেই ধরা পড়ে আসল রহস্য। পোশাকের ভেতর লুকোনো ছিল ১০টি সোনার বিস্কুট। বৈধ কোনও নথি দেখাতে না পারায় তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশি জেরায় ধৃত শিবনাথ মণ্ডল স্বীকার করেন, ওই সোনা বাংলাদেশ থেকে এনে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল সেগুলি পৌঁছে দেওয়ার লালন মণ্ডলের হাতে। তার তথ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তী সময়ে লালন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ জানান, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এরা কেবলমাত্র ক্যারিয়ার কি না। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এর পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সোনা এনে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। পুরো ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে এই সোনা ভারতে প্রবেশ করেছিল। তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, স্থানীয় স্তরে আর কারা এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত এবং কোথায় পৌঁছনোর উদ্দেশ্য ছিল ওই বিপুল পরিমাণ সোনা।