ওই চা বাগানে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন আকাশ। সেই সময় চা বাগানের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে ছিল চিতাবাঘটি। তা আকাশের নজরে আসেনি। এরপর আচমকা আকাশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘ। আচমকা চিতা বাঘের হামলার ফলে আকাশের মাথায় এবং ঘাড়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে।
চা বাগানে চিতা বাঘের হামলা। প্রতীকী ছবি
ফের চা বাগানে চিতার হামলা। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন এক চা শ্রমিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে ডুয়ার্সের তাসাটি চা বাগানে। চা বাগানে কাজ করছিলেন চা শ্রমিক আকাশ ওঁরাও। তখনই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। আশেপাশের চা শ্রমিকদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচেছেন আকাশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চা বাগানে কীটনাশক স্প্রে করছিলেন আকাশ। সেই সময় চা বাগানের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে ছিল চিতাবাঘটি। তা আকাশের নজরে আসেনি। এরপর আচমকা আকাশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘ। আচমকা চিতা বাঘের হামলার ফলে আকাশের মাথায় এবং ঘাড়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বন বিভাগের তরফে বহন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলগাঁও রেঞ্জারের রেঞ্জার ধনঞ্জয় রায়। একইসঙ্গে চিতাবাটি জঙ্গলের মধ্যে চলে গিয়েছে নাকি অন্য এলাকায় রয়েছে সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। এই দিনের ঘটনার জেরে অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডুয়ার্সের চা বাগানে চিতা বাঘের হামলা নতুন কিছু নয়। সেখানে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। মাসখানেক আগে বানারহাটে চা বাগানে চা পাতা তুলতে গিয়ে চিতা বাঘের হানায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক মহিলা শ্রমিক। ওই মহিলা শ্রমিকের নাম সরস্বতী বিশ্বাস। দুটি চিতা বাঘ তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল বলে তিনি দাবি করেছিলেন। অন্যান্য শ্রমিকরা চা বাগান থেকে পালিয়ে গেলেও তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারেননি। চিতা বাঘের হামলায় মাথায় এবং কপালে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। এরপর অন্যান্য শ্রমিকরা তাড়া করলে চিতাবাঘটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।