বগটুইকাণ্ডের তদন্তের সঙ্গে দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। অথচ তাঁকেই কি না স্বামীর মৃত্যুতে অভিযুক্ত করেছেন লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি। তার পর থেকেই ফের আলোচনার কেন্দ্রে গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য।বগটুই গণহত্যায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুতে ৭ জন সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী রেশমা বিবি। তার মধ্যে রয়েছে গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যের নামও। গরুপাচারকাণ্ডের মূলচক্রী অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর।অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও সিআইডি। ওদিকে FIR-কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছে সিবিআই। তাদের দাবি, এই FIRএর পিছনে নবান্নের হাত রয়েছে। বিজেপির দাবি, জেলে বসে সিউড়ি থানার আইসিকে দিয়ে এই FIR করিয়েছেন খোদ অনুব্রত মণ্ডল।এরই মধ্যে সুশান্তবাবু জানিয়েছেন, বগটুই গণহত্যার তদন্তের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। তিনি কোনও দিন বগটুই জাননি। এমনকী ওই ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে কোনও দিন তাঁর কথা হয়নি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সিবিআইএ চাকরি করি। কাউকে ভয় পাই না।’সিবিআইয়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে রেশমা বিবির FIR-এর তদন্তে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, লালন শেখের স্ত্রীকে দিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়েছেন জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। জেলে বসে ফোন ব্যবহার করছেন তিনি। সেই প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। তিনি সিউড়ি থানার আইসিকে ১২ ডিসেম্বর রাতে ফোন করে FIR-এর খসড়া তৈরির নির্দেশ দেন। এর পর তৃণমূলের এক আইনজীবীকে দিয়ে সেই খসড়া তৈরি করানো হয়। এই ঘটনায় যুক্ত স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও।