বাংলাদেশ থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন সে দেশে বন্দি থাকা ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এই ভারতীয় মৎস্যদীবীদের নাকি বাংলাদেশের জেলে মারধর করা হয়েছে। আর এবার সামনে এল বাংলাদেশি জেলে ভারতীয়দের ওপর অত্যাচারের বর্ণনা। টিভি৯ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, গোপাল মান্না নামক এক ভারতীয় মৎস্যজীবী অভিযোগ করেছেন, ২০ ডিসেম্বর তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সেখানে উলঙ্গ করে নাকি ছবি তোলা হয়েছিল তাদের। মারধর করেছে। একাধিকবার নাকি তাদের পোশাক খুলিয়ে অত্যাচার চালানো হয় তাঁদের ওপরে। এই গোপাল মান্নার বাড়ি ডায়মন্ড হারবারে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসতে গিয়ে BSF-এর জালে হিন্দু নাবালক)
আরও পড়ুন: 'আমায় ধর্ষণ করে ওর বন্ধুরা, আর সৌদিতে বসে সেই ভিডিয়ো দেখে স্বামী'
আরও পড়ুন: জারি থাকবে পারদ পতন? বাংলার জেলায় জেলায় আর কতদিন থাকবে এই শীতের আমেজ?
এদিকে গোপালবাবু আরও অভিযোগ করেন, তাঁর আগে যাঁরা ধরা পড়েছিলেন, তাঁদের নাকি এত মার মেরেছিল যে তাঁদের মলত্যাগের সময় রক্তপাত হত। এদিকে নাকি বাংলাদেশি পুলিশ শেখ হাসিনাকে 'ভারতের মা' আখ্য দিয়ে বলেছিলেন, 'তোদের মা নেই। মা মরে গিয়েছে। চলে গিয়েছে।' এদিকে অত্যাচার সহ্য করার প্রসঙ্গে গোপালবাবু বলেন, 'আমাদের পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিল। ওদের দেশের নৌবাহিনী আমাদের মাছগুলো নিয়ে চলে যায়। তারপর আমাদের আধার কার্ড চায়। উলঙ্গ করে আগোপিছু ছবি তুলেছে। বারবার বলছে জামা কাপড় খোল। আমরা কিছু বলিনি। কারণ যদি আরও মারধর করে।' (আরও পড়ুন: ৩৮% প্রিমিয়ামে লিস্টিং, তারপর মিনিটেই আপার সার্কিট ছুঁল এই শেয়ার, একদিনে লাভ কত?)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে নয়া তথ্য সামনে, আছে সুখবর নাকি দুঃসংবাদ?
এদিকে গঙ্গাসাগর মেলার ভিড়কে কাজে লাগিয়ে নদীপথে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সম্প্রতি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল। রাজ্য পুলিশকে এই নিয়ে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও এই নিয়ে সাংবদাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এবার গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ১৩ হাজার পুলিশকর্মী ও আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গনে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রলাগুলির লাইসেন্স পরীক্ষা করছে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হচ্ছে ট্রলারে। সমুদ্রে কোনও অচেনা ট্রলার দেখা গেলে খবর দিতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এদিকে নৌবাহিনীর তরফে বলা হয়েছিল, 'মেলা চলাকালীন দু’টি হোভারক্রাফ্ট এবং একটি সামরিক জাহাজে নজরদারি চলবে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমান্তে।' (আরও পড়ুন: আগে স্থানীয় নির্বাচন করাতে চান ইউনুস, BNP বলল - 'মানবা না... ষড়যন্ত্র হচ্ছে')
আরও পড়ুন: চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭-১০ টাকা, খিদে মেটাতে ভারতের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ
এই আবহে গঙ্গাসাগর মেলার আবহে জলপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ওপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে তিনি নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। এদিকে গঙ্গাসাগরে এবার জেলা পুলিশও বোটে করে পাহারা দেবে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকে বলেছি যাতে ওপার থেকে এদিকে কোনও সমস্যা না হয়। জটলার ওপরও খেয়াল রাখতে হবে। জল, স্থল, আকাশ, সব দিকেই নজর রাখতে হবে। কেউ যাতে কোনও ভাবে ক্ষতি না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।'