এবার রাজ্যে মহরমের সশস্ত্র শোভাযাত্রা থেকে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মালদায় পুলিশের সামনেই মহরমের মিছিল থেকে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর হলেও চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখেছে পুলিশ। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে শুভেন্দুবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, মালদা বিধানসভার ই়লিশবাজার থানার নরহাট্টা জিপির লক্ষ্মীকান্তপুর গ্রামে মহরমের তাজিয়া নিয়ে হিন্দু এলাকায় বিপুল সংখ্যক জেহাদির দল ঘর, বাড়ি, দোকান ভাংচুর করেছে। সেখানে পুলিশ কর্মীরা থাকলেও তারা নিরব দর্শকের ভুমিকায় ছিল। লক্ষ্মীপুর গ্রামের শান্তিপ্রিয় হিন্দুরা ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত।
পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনের সময় এমন একটাও উৎসব নেই যে তাদের রক্ত ঝরে নি, সে দুর্গাপুজোই হোক আর সরস্বতী পুজো বা রথযাত্রা। ভিন্ন ধর্মের একদল জেহাদি বর্তমানে রাজ্যটাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়ে হিন্দুদের উপর বিনা প্ররোচনায় যখন তখন আক্রমণ চালাচ্ছে, তাদের ধর্মাচরণে বাধা দান করছে। আর এসব কিছুই হচ্ছে মমতা ব্যানার্জীর নির্লজ্জ তোষন নীতির ফলে। কারণ মমতা ব্যানার্জী নিজের ৩০ শতাংশ ভোট ব্যাঙ্ক অক্ষুন্ন রাখতে চান। যথারীতি প্রশাসনেরও হাত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই অরাজকতার থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকারের বিসর্জন।
মালদার এই ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনোও রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। আমি হিন্দুদের বলব আপনারা জোট বাঁধুন, একত্রিত হোন, নচেৎ বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে হয়েছে, আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গেও থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।'
এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।