পুলিশকে গুলি ফেরার খুনের আসামি সাজ্জাক আলমকে শনিবার সকালেই এনকাউন্টারে খতম করেছে রাজ্য পুলিশ। আর তার পরই মুখ খুলেছেন সাজ্জাকের স্ত্রী। তাঁর দাবি, তাঁকে খুন করতেই পুলিশকে গুলি করে ফেরার হয়েছিল সাজ্জাক। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করায় জেলে বসে ফোনে তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিল সাজ্জাক।
পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত দুষ্কৃতী সাজ্জাকের ২টো বিয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী মুসকান বেগম বলেন, ‘বিয়ের পরে জানতে পারি আমার স্বামী খুন, ডাকাতি ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এর পর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিই। এর মধ্যেই ২০১৯ সালে করণদিঘিতে এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর খুনের ঘটনায় সাজ্জাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জেলে বসে ফোনে সে আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। সম্ভবত আমাকে খুন করতেই পুলিশকে গুলি করে পালিয়েছিল সে।’
রবিবার গোয়ালপোখরের খামারপোখর গ্রামের বাবার বাড়িতে বসে মুসকান বলেন, ‘গত বুধবার যখন জানতে পারি সাজ্জাক পালিয়েছে তখন ভয়ে কাঁটা হয়ে গিয়েছিলাম। মাকে নিয়ে গোয়ালপোখর থানায় গিয়ে প্রাণের আশঙ্কার কথা জানাই। তিনি আমাকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।’
মুসকান জানিয়েছেন, ‘সাজ্জাকের মতো দুষ্কৃতীর উপযুক্ত শাস্তিই হয়েছে। ও পুলিশকে গুলি করেছিল, পুলিশও ওকে গুলি করেছে। আমরা এবার নিশ্চিন্তে বাঁচতে পারব।’
গত বুধবার বিকেলে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা এলাকার পাঞ্জিপাড়া কালীবাড়ি এলাকায় ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালায় সাজ্জাক আলম নামে এক বিচারাধীন আসামি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে জেল লক আপে থাকাকালীন আবদুল ওরফে আওয়াল নামে এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতী তার হাতে অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছিল।