জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ- এমন পবিত্র ভোগ, যা পেলে ভক্তদের মনে তৃপ্তি আসে, মন ভরে যায় শ্রদ্ধায়। সেই প্রসাদ মানুষের বাড়িতে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। তবে এই পুণ্য কাজটি নিজে হাতে করতে চাইছেন একাধিক পুরসভার কাউন্সিলররা। তাই একাধিক পুরসভার কাউন্সিলর এ বিষয়ে ডিলারদের কাছে আবেদন করেছেন। (আরও পড়ুন: পাক সেনা প্রধানের পাশাপাশি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশি NSA খলিলুর, কী হচ্ছে আমেরিকায়?)
আরও পড়ুন: রথযাত্রা ঘিরে দিঘায় ব্যাপক ভিড়ের আশঙ্কা, দুর্ঘটনা এড়াতে তারকেশ্বর মডেল
জানা গিয়েছে, বারাকপুর ও উত্তর দমদম পুরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে রেশন ডিলারদের সংগঠনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রেশন দোকান থেকে ভোগের ক্ষীর ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে নিয়ে কাউন্সিলররাই নিজেদের এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই প্রসাদ বিলি করতে চেয়ে আবেদন করেন। (আরও পড়ুন: ইরান যুদ্ধে জড়াবে পাক? জল্পনার মাঝে পদক্ষেপ করতে পারে ভারতীয় বায়ুসেনা)
পুরসভার অনেক প্রতিনিধির মত, জগন্নাথদেবের প্রসাদ মানুষকে সরাসরি হাতে তুলে দেওয়ার মধ্যে এক বিশেষ অনুভব আছে। শুধু পুণ্য অর্জন নয়, এতে জনসংযোগও দৃঢ় হয়। তাই প্রসাদ বিলির সময় কাউন্সিলররাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাইছেন। অনেকেই চাইছেন, মহিলাদের নিয়ে একটি শোভাযাত্রা করে সম্মান-সহকারে সেই প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হোক প্রতিটি পরিবারের হাতে। রেশন ডিলারদের সংগঠন ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, প্রসাদ বিলি যদি কাউন্সিলররা করতে চান, তাহলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তারা রেশন দোকান থেকে নির্দিষ্টভাবে সই করে প্যাকেট তুলে নিতে পারেন। (আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানকে ভালোবাসি…', মোদীর সঙ্গে ফোনালাপের পর প্রথমবার মুখ খুললেন ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: মেঘালয় হানিমুন হত্যায় উঠে এল সঞ্জয় বর্মার নাম, সোনমকে ১০০ ফোন করা এই ব্যক্তি কে?
আরও পড়ুন: ইরানে কি হামলা চালাবে আমেরিকা? হেয়ালি মেশানো জবাব ট্রাম্পের
এদিকে খাদ্য দফতর জানিয়েছে, নির্দিষ্ট দিনে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ। প্রসাদ বিতরণের দিন ঠিক হয়েছে ২৩ জুন, ৩০ জুন ও ১ জুলাই। রথযাত্রার দিন ২৭ জুন সরকারি ছুটির কারণে কোনও রেশন বা প্রসাদ বিলি হবে না। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম মেনেই প্রসাদ বিলি হবে। তবে কাউন্সিলররা যদি বিলির সময় থাকতে চান বা নিজেরা বিলি করতে চান, সেটাও করা যেতে পারে।বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস জানিয়েছেন, তিনি চান জনপ্রতিনিধিরাই এই মহাপ্রসাদ মানুষের হাতে পৌঁছে দিক।