বিএসএফের বিরুদ্ধে ধর্মাচারণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলায়। মালদার তপন ব্লকের গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাখরপুরে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা একটি প্রাচীন মসজিদে ঢুকে নামাজের সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ভারতীয় আধার, ভোটার কার্ড করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সিপিএম নেতা)
আরও পড়ুন: ভুটানের ডাম্পারের নীচে লুকিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, ফুলবাড়িতে ধৃত বাংলাদেশি যুবক
আরও পড়ুন: ভারতীয় পাসপোর্ট দিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা বাংলাদেশির
গ্রামবাসীদের দাবি, মাগরিবের নামাজ চলাকালীন প্রায় ২০০-২৫০ মিটার দূরে থাকা ছত্রহাটি সীমান্ত চৌকি থেকে কয়েকজন বিএসএফ জওয়ান মসজিদে ঢুকে কয়েকজন মুসল্লিকে ধমক দিয়ে বাইরে নিয়ে যান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, দুপুরে নাকি ওই মসজিদে একজন বাংলাদেশি এসে নামাজ পড়েছিল এবং তাকে সীমান্ত পেরিয়ে ফেরত পাঠাতে গ্রামবাসীরা সাহায্য করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রাজিউর চৌধুরীর বক্তব্য, তাঁদের মসজিদের পিছনেই সবসময় বিএসএফ মোতায়েন থাকে। কোনও বাংলাদেশি ঢুকেছে বলে গ্রামবাসীদের জানা নেই। গ্রামবাসীরা সীমান্ত সুরক্ষায় সবসময় সহযোগিতা করেন। কাঁটাতারের জন্য জমি দিতেও প্রস্তুত। কিন্তু নামাজে বাধা দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। জানা যায়, ঘটনার সময় মসজিদে ঢুকে ইরফান চৌধুরী নামে একজনকে এবং আরও কয়েকজনকে নামাজ শেষ হওয়ার আগেই বাহিনীর সদস্যরা বাইরে নিয়ে যান। ‘প্রমাণ’ থাকার দাবি করে নানা রকম হুমকি দেন তাঁদের। (আরও পড়ুন: এসি লোকালে শিয়ালদা থেকে দমদম যেতে পড়বে ৩৫ টাকা, টিকিট না কেটে উঠলে জরিমানা কত?)
আরও পড়ুন: চিংড়িঘাটা মোড়ের যানজটের স্থায়ী সমাধান মিলবে জলদি, দাবি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের
এবিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মোকসেদুল চৌধুরী অভিযোগ করেন, একজন বিএসএফ আধিকারিক সরাসরি বলে গিয়েছেন, এই মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করতে হবে। তবে তাঁর দাবি, এই মসজিদ ৩০০ বছরের পুরনো। এখানে নামাজ বন্ধ হবে না।শুক্রবার সকালে তপন থানার পুলিশ গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে। থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী রায়ও ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশি খোঁজার নামে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, মাঠে কাজ করতে গেলেও প্রায়ই বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের দিয়ে জোর করে জঙ্গল পরিষ্কার করান। এসব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ বাড়ছিল, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর তা আরও তীব্র হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাখরপুর গ্রামের কিছু অংশে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। বিভিন্ন জটিলতার কারণে সেই কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, ফলে ওই এলাকা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে গ্রামবাসীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা জানান।