একটি বা দুটি নয়, স্কুল চত্বর থেকে উদ্ধার হল আটটি বিষধর সাপ। যেন স্কুলের মধ্যেই ছিল সাপের ডেরা। স্থানীয়দের দাবি, উদ্ধার হওয়া সাপগুলি হল গোখরোর বাচ্চা। সাপ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সোমবার হুলুস্থুল পড়ে যায় স্কুলে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক, অভিভাবক সকলেই। ঘটনাটি মালদা শহরের অন্যতম নামকরা স্কুল মালদা গার্লস হাই স্কুলের। স্কুল চত্বরে নাইট গার্ডের ঘর এবং আশপাশ এলাকা থেকে এই সাপগুলি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, আরও অনেক সাপ রয়েছে স্কুলে। তা থেকেই বড় বিপদ হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: স্কুলের মধ্যেই উদ্ধার ৪০ টি বিষধর সাপের বাচ্চা! আতঙ্ক এলাকায়
জানা যাচ্ছে, এই স্কুলে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে দেড় হাজারেরও বেশি ছাত্রী রয়েছে। স্কুল চলাকালীন সাপ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনার পরেই বন দফতরের কাছে সাহায্য চাইল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা টুম্পা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘স্কুলে এরকম সাপ দেখতে পাওয়াটা নতুন কিছু নয়। প্রতিবছর বর্ষা আসলেই এভাবে সাপ দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের স্কুলে তিনজন ঝাড়ুদার আছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিত ক্লাসরুম এবং স্কুল চত্বর পরিষ্কার করেন। তা সত্ত্বেও বর্ষার কারণে সাপ চলে এসেছে। এখনও পর্যন্ত আটটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার হয়েছে। আরও যদি সাপের বাচ্চা থেকে থাকে সেগুলি উদ্ধার করা হবে। আমরা এই বিষয়ে বন দফতরকে জানাবো।’ তিনি আরও জানান, এর আগেও স্কুলে সাপ ঢুকেছিল। তখন বন দফতরকে জানানো হয়েছিল। তারা উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল। এবারও তাই করা হবে।
অন্যদিকে, স্কুলে ঝোপঝাড় ও অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, স্কুল চত্বর ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। তিনি জানান, আগে ঝোপঝাড় ছিল। এখন তা নেই। বড় বড় গাছ রয়েছে। নিয়মিত স্কুল চত্বর পরিস্কার করা হয়।
তবে সাপ উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। এবিষয়ে সারিকা রায় নামে এক অভিভাবকের আশঙ্কা, এভাবে স্কুলের মধ্যে সাপ থাকলে বড় বিপদ হতে পারে। কারণ বাচ্চার স্কুলের মাঠে খেলবেই সেই সময় কোনও সাপ লুকিয়ে থাকলে বিপদ হতে পারে। তাই যাতে দ্রুত সাপগুলি যাতে ধরা হয় সে ব্যাপারে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। এভাবে তো পড়ুয়াদের স্কুলে আসা বন্ধ করা যায় না। তাই যাতে দ্রুত সাপ গুলি ধরা হয় আমরা সেটাই চাই।’ তাছাড়া স্কুল চত্বর পরিষ্কার রাখার আর্জি জানান তিনি।