গত মাসের ঘটনা। একটি আইসক্রিমের মধ্যে একজনের হাতের আঙুলের টুকরো মিলেছিল। এক চিকিৎসক আইসক্রিম খেতে গিয়ে এটা পেয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন এই টুকরোটা আঙুলের এটা আমি নিশ্চিত। অবশেষে পুনের কারখানার এক কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে যার হাতের আঙুলের টুকরো পাওয়া গিয়েছিল আইসক্রিমের ভেতর। বৃহস্পতিবার পুলিশ এনিয়ে জানিয়েছে।
এদিকে সেই টুকরোটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয় যে এটা হল ওই কারখানার কর্মী ওঙ্কার পোড়ের।
কীভাবে আঙুলটা কেটে গিয়েছিল ওই কর্মীর?
পুলিশ জানতে পেরেছে ওই যুবক সেদিন একটা আইসক্রিমের ঢাকনা খোলার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তার আঙুলটা মেশিনে কেটে যায়। কিন্তু এবার দেখা হচ্ছে ওই আইসক্রিমের গুনমান পরীক্ষা করতেন যারা তাদের ভূমিকা কতটা রয়েছে?
পুলিশ পুরো সাপ্লাইচেনটা পরীক্ষা করে। এরপর পুলিশ জানতে পারে যে পুনের একটা কারখানায় আইসক্রিমটা তৈরি করা হয়েছিল। এরপর পুলিশ ওই কর্মীর হাতে আঙুল কাটার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। সেই অনুসারে তার ডিএনএ ম্যাচিং করা হয়। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয় যে এই আঙুলের টুকরোটি ওই কর্মীরই।
এদিকে ওই আঙুল পাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল চরমে ওঠে।
নেপথ্য়ের ঘটনাটি ঠিক কী?
ডাঃ সেরাও নামে ওই চিকিৎসক মুম্বইয়ের শহরতলিতে থাকেন। তিনি তাঁর বোনকে বলেছিলেন, তুমি যখন মুদিখানার জিনিসপত্র অর্ডার করবে তখন তুমি একটা আইসক্রিমও অর্ডার করে দিও। সেই মতো বোন আইসক্রিমের অর্ডার দেন। সেই মতো আইসক্রিমও চলে আসে। তিনি ঢাকনা খুলে আইসক্রিম খেতে শুরু করেন। এমন সময়ই বিপত্তি। তিনি ঢাকনা খুলে আইসক্রিম খাওযা শুরু করেন। এমন সময় তাঁর মুখে বাদামের মতো কিছু যেন লাগে। কিন্তু তিনি সেটা খেয়ে ফেলেননি। তিনি সেটা মুখ থেকে বের করে ফেলেন। একটি ছবি অনলাইনে ঘুরছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে একটি মানুষের আঙুল রয়েছে আইসক্রিমে। একেবারে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা।
একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি গোটা বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমি তিনটি কোন আইসক্রিম অর্ডার করেছিলাম। একটা ছিল বাটারস্কচ। সেটা ইয়ামো ব্র্যান্ডের। সেটা অর্ধেক খাওয়ার পরে দেখলাম মুখে একটা সলিড টুকরো রয়েছে। প্রথম ভেবেছিলাম বাদাম। এরপর সেটা ভালো করে দেখি। আমি চিকিৎসক আমি জানি শরীরের অংশ কেমন দেখতে হয়। আমি ভালোভাবে পরীক্ষা করেছি। সেটাতে নোখ ছিল। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছিল। মনে হচ্ছে এটা বুড়ো আঙুল। ভয় পেয়ে যাই।
অবশেষে জানা গেল এটা আসলে কার আঙুলের টুকরো ছিল।