ইরানের ছয়টি এয়ারপোর্টে রবিবার রাতে হামলা করল ইজরায়েল। সোমবার ভোরে এই খবর জানিয়েছে ওই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী। বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের এয়ারপোর্টগুলিতে হামলা করে মোট পনেরোটি সামরিক বিমান গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। পাশাপাশি ড্রোন হামলা করে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি রানওয়ে।
কী জানিয়েছে ইজরায়েল বাহিনী
ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানের মধ্য, পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে টার্গেট করা হয়েছে এই হামলায়। ইরানে হামলায় কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার একটা বিবরণ দিয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের একটি এফ-১৫ ও একটি এফ-৫ ফাইটার জেটকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ড্রোন হামলা করে। এছাড়াও একটি জ্বালানি ভরার বিমান ও এএইচ-১ কোবরা অ্যাটাক হেলিকপ্টারকেও আক্রমণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - ইরানের চালে মাত ট্রাম্প? US হামলার আগেই সরিয়ে নেয় ইউরেনিয়াম! সন্দেহ ইজরায়েলেরই
কী বলছে ইরান?
রবিবার রাতের আক্রমণ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি ইরান। কোনও এয়ারপোর্টে হামলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে ইরানের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে ইরানের মন্তব্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই হামলা চালিয়েছে ইরানে। তেহরান ও ইসফাহানসহ তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে আক্রমণ চালায় আমেরিকা। সেই হামলার প্রত্যুত্তরে ইরানে বিবৃতি দিয়েছে রবিবার। জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ইরানের সশস্ত্র সেনার টার্গেট আরও বাড়িয়ে দিল। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এহেন আক্রমণকে ইরান জুয়াবাজির সঙ্গেও তুলনা করেছে। ইরানের বক্তব্য, সুযোগ বুঝে আমেরিকা এখনও ইজরায়েলের দলে যোগ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন - ইরানে মার্কিন হামলা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানের অবস্থান আরও স্পষ্ট?
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
প্রসঙ্গত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইজরায়েলের পরমাণু বোমা উৎপাদন নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে বৈঠক ভেস্তে যায় ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহে। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দুই সপ্তাহের মধ্যেই ইজরায়েলের পথে হাঁটতে পারে আমেরিকা। কিন্তু দুই সপ্তাহ নয়, আদতে তিন দিনের মাথাতেই আক্রমণ করে বসল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
পরমাণু কেন্দ্রে কতটা ক্ষয়ক্ষতি?
পরমাণু কেন্দ্রে আক্রমণের ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে ইরান। যদিও ম্যাক্সারের উপগ্রহচিত্র বলছে অন্য কথা। কারণ উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে মার্কি হানায় প্রায় ১৬ ফুট গভীর গর্ত হয়েছে পরমাণু কেন্দ্রে। যদিও ইরানের দাবি, কোনও রকম তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না হামলা হওয়া পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে।