পহেলগাঁও পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাস ইস্য়ুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চরমে ওঠে। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে গত এপ্রিলে জঙ্গি হানার পরই পাকিস্তানের ৯ সন্ত্রাসঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। আজ আরও এক সন্ত্রাসী হামলার বর্ষপূর্তি। আর সেই হামলা হয়েছিল বাংলাদেশেষ ২০১৬ সালের ১ জুলাই, বাংলাদেশের গুলশালে হোলি আর্টিজেন রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হানার আজ বর্ষপূর্তি। আর সেই দিনে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব আসাদ আলম সিয়াম থেকে শুরু করে ঢাকা পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলি মুখ খোলন। সন্ত্রাস নিয়ে কী বলছে বাংলাদেশ?
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে মহম্মদ ইউনুস সরকারের অধীনে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতা ক্রমাগত বেড়েছে। যে সন্ত্রাসের রক্তাক্ত অধ্যায় ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে চরমভাবে বিপর্যস্ত করে, সেই সন্ত্রাসের মদতদাতা দেশ পাকিস্তানের ৯ জঙ্গি ঘাঁটি ‘অপারেশন সিঁদুর’ এ গুঁড়িয়েছে ভারত। সন্ত্রাসকে ঘিরে ক্রমেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এদিকে, গুলশানে জঙ্গি হানা কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে সেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে বাংলাদেশ। ইউনুসের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশের ঢাকার মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলি এদিন দাবি করেন, বাংলাদেশে কোনও জঙ্গি নেই। সেখানের অপরাধের জগত বলতে, তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশে কোনও জঙ্গি নেই। বাংলাদেশে আছে ছিনতাইকারী।' জঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন যেতেই তিনি বলেন,' জঙ্গি নেই, এখন ঠেকাতে হবে ছিনতাই। জঙ্গি থাকলে না জঙ্গি নিয়ে ভাবব।' ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আওয়ামী লিগের (সরকারের) সময় জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ছেলেপেলেদের মেরেছে, কিসের জঙ্গি?’ এরপরই তাঁর কাছে প্রশ্ন যায়, তাহলে কি হোলি আর্টিজান-এ জঙ্গি হানাও সাজানো ঘটনা ছিল? এই প্রশ্নবাণ আসতেই শেখ মো. সাজ্জাত আলি বলেন,'ওটা সম্পর্কে আমি জানি না। তবে বাংলাদেশে কোনও জঙ্গি নেই।'
( ‘আই লাভ ইউ’ বলার মধ্যে কোনও ‘যৌন ইচ্ছা থাকে না’! বার্তা কোর্টের, রেহাই যুবকের)
( Surya Gochar: সৌভাগ্য জাগিয়ে তুলবেন সূর্যদেব! ধনু সহ এই ৩ রাশির ভালো সময় আসছে খুব শিগগিরই)
এদিকে, মঙ্গলবার ঢাকার ইতালি দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে এক বক্তব্য রাখার সময় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব আসাদ আলম জোর দেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাংলাদেশের ‘জিরো টালারেন্স’ নীতি নিয়ে। এছাড়াও সহিংস চরমপন্থা মোবাকিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে দাবি করেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যক্ত করেন।