'জুতো সেলাই করো!' জাতিবিদ্বেষের শিকার পাইলট, বিপাকে ইন্ডিগো

'তুমি প্লেন চালানোর উপযুক্ত নও, বরং জুতো সেলাই করো।' ইন্ডিগোর গুরুগ্রামের হেড অফিসে এমনই হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন এক ট্রেনি পাইলট। তাঁর দাবি, তিনি তপশিলি জাতিভুক্ত হওয়ার কারণেই তাঁকে বারবার অপমান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ইন্ডিগোর তিন সিনিয়র আধিকারিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে জাতিগত বিদ্বেষের অভিযোগ দায়ের করেন ওই পাইলট।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরুগ্রামে। সেখানেই ইন্ডিগো বিমান সংস্থার প্রধান কার্যালয়। ৩৫ বছর বয়সি ওই ট্রেনি পাইলট প্রথমে বেঙ্গালুরুর এক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ‘জিরো এফআইআর’ হিসেবে মামলা গ্রহণ করে। পরে তা পাঠিয়ে দেয় গুরুগ্রামের পুলিশের কাছে।এফআইআর-এ নাম রয়েছে ইন্ডিগোর তিন সিনিয়র আধিকারিক- তাপস দে, মনীশ সাহানি এবং ক্যাপ্টেন রাহুল পাটিলের। তাঁদের বিরুদ্ধে এসসি-এসটি (প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিজ) আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-ইরানে মার্কিন হামলা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানের অবস্থান আরও স্পষ্ট?

ওই পাইলট জানান, 'গত ২৮ এপ্রিল গুরুগ্রামে একটি মিটিংয়ের মাঝে তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, 'আপনি কোনও বিমান ওড়ানোরই যোগ্য নন, ফিরে যান, জুতো সেলাই করুন। আপনি এই অফিসের দারোয়ান হওয়ারও যোগ্য নন।' পাইলটের অভিযোগ, এই হেনস্থা কেবল মৌখিক ছিল না। তাঁকে চাকরি ছাড়ানোর জন্য নানা ভাবে মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল। যেমন, অকারণে বেতন কাটা, বারবার ট্রেনিংয়ে পাঠানো, ওয়ার্নিং লেটার দেওয়া। একাধিকবার তিনি সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে এবং এথিক্স প্যানেলেও বিষয়টি জানান কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। শেষে বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন।

আরও পড়ুন-ইরানে মার্কিন হামলা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানের অবস্থান আরও স্পষ্ট?

ইরানের চালে মাত ট্রাম্প? US হামলার আগেই সরিয়ে নেয় ইউরেনিয়াম! সন্দেহ ইজরায়েলেরই

অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন। ইন্ডিগোর তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। যদিও তাদের ওয়েবসাইটে বলা আছে, তারা সব ধর্ম, জাত, লিঙ্গ, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে কর্মীদের সম্মান করে।