স্কুলে কানের দুল পরে এসেছিলেন একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। সেই কানের দুল দেখে বকা দিয়েছিলেন এক শিক্ষাকর্মী। তাঁকে বলেছিলেন, স্কুলে এসব পরা যাবে না। কথাটি রীতিমতো অপমানজনক বলে মনে হয় ওই ছাত্রের। তার পরই অপমানের ‘প্রতিশোধ’ নিতে দলবল নিয়ে ওই কিশোর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষাকর্মীকে মারধর করে ওই ছাত্র ও তাঁর দল। সম্প্রতি এই ঘটনার জেরেই তোলপাড় লিলুয়ার টিআরজিআর খেমকা হাই স্কুল। স্কুলের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এই ঘটনার পর।
ঠিক কী ঘটেছিল?
স্কুলের তরফে জানানো হয়, গত শুক্রবার এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। কলা বিভাগের ওই ছাত্র তার এক কানে দুল পরে স্কুলে আসেন। বিষয়টি চোখে পড়ে জয়দীপ প্রামাণিক। তিনি তৎক্ষণাৎ ছাত্রটিকে এই বিষয়ে স্কুলের নিয়মের কথা মনে করিয়ে দেন। পর দিন থেকে পরে আসতে বারণ করেন। কিন্তু এটুকু বারণেরই অন্যরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। শিক্ষাকর্মীর কথায় রীতিমতো খেপে যান ওই ছাত্র।
আরও পড়ুন - ‘তরুণ লাগছে তোমাকে’ সুন্দর পিচাইয়ের কথায় গুগল আর গডের তফাত বোঝালেন গৌরাঙ্গ দাস
বেধড়ক মার শিক্ষাকর্মীকে
পরদিন শনিবার ওই ছাত্র তার দলবল নিয়ে হামলা করেন জয়দীপের উপর। স্কুল ছুটির পর তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তার উপর হামলা করা হয়। লিলুয়ার ঝিল রোডে তাকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন শিক্ষাকর্মী।
আরও পড়ুন - শুধু ঘর নয়, উজ্জ্বল হবে ত্বকও! হলুদের এইসব গুণ অনেকেরই অজানা, রইল ট্রিকস
কী বললেন প্রধান শিক্ষক?
প্রধানশিক্ষক স্বদেশকুমার গিরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,‘ওই ছাত্রটি স্কুলের শৃঙ্খলা মেনে চলত না। এমনকি, নিয়মিত স্কুলের পোশাক পরে স্কুলে আসত না। কানে ফ্যাশনেবল দুল পরে আসত। বার বার বলার পরেও ও শুনত না। তাকে বারণ করায় শিক্ষাকর্মীকে মারধর করে সে।’ ঘটনার পরে পুলিশ থানায় ডেকে ওই ছেলেকে সতর্ক করেন। পাশাপাশি তাঁর বাড়ির লোককেও ডেকে সতর্ক করা হয়। সোমবার স্কুলে ছেলেটি এলে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলে সে আর পড়তে পারবে কি না সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল।