কলেজে অনলাইনে ভর্তি পোর্টাল চালু হওয়ার পর নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ওবিসি শ্রেণিবিন্যাস বজায় রেখেই ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে বিষয়টি উত্থাপন করলেন এক আইনজীবী। দ্রুত শুনানির আবেদনও জানানো হয়েছে। বিচারপতি মঙ্গলবার ফের দৃষ্টি আকর্ষণের অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: বাংলার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পোর্টাল চালু, কবে থেকে কতদিন পর্যন্ত আবেদন?
আবেদনের মূল ভিত্তি, রাজ্য সরকার হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই ওবিসি এ ও ওবিসি বি ক্যাটেগরি অন্তর্ভুক্ত রেখে কলেজে ভর্তির জন্য সেন্ট্রালাইজড পোর্টাল খুলে দিয়েছে। অথচ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ২০১০ সালের আগে স্বীকৃত ৬৬টি সম্প্রদায় ছাড়া অন্যদের ওবিসি তালিকাভুক্ত করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১২ সালের আইন মেনেই তালিকা পুনর্গঠন করতে হবে রাজ্যকে।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুন রাজ্য সরকার নতুন করে ১৪০টি সম্প্রদায়ের নাম যুক্ত করে ওবিসি তালিকা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তির উপরই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। তার কার্যকারিতা থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই অবস্থায় কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের এক মাসেরও বেশি সময় পর গত১৮ জুন থেকে শুরু হয় কলেজে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ৪৬০টি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ার সূচনা করেন সেন্ট্রালাইজড পোর্টালের মাধ্যমে। ১ জুলাই পর্যন্ত আবেদন নেওয়ার কথা। প্রতি পড়ুয়া সর্বোচ্চ ২৫টি কলেজে ফর্ম পূরণ করতে পারবে। তবে প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, সংখ্যালঘু কলেজ, আইন কলেজ এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই ব্যবস্থার বাইরে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার ফের আইনি জটিলতায় পড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন আইন মহলের অনেকে।