একদিকে চলছে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ভোট গণনা, রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের চোখ সেখানে। আর ঠিক সেই সময়েই আগুন লেগে চাঞ্চল্য ছড়াল নির্বাচন কমিশনের দফতরে। আজ সোমবার কলকাতার বালমের লউরি ভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে আচমকা আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ভবনের একতলায় অবস্থিত ডেটা সার্ভার রুমে। যার পরেই তৈরি হয় আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: ইচ্ছা করে কালীগঞ্জের ভোটগণনাকে দেরি করানো হচ্ছে, উঠল অভিযোগ, মোতায়েন বাহিনী
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় পুলিশ ও কমিশনের নিরাপত্তারক্ষীরা। তাদের তৎপরতায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। কোনও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বহুতল খালি করে দেওয়া হয়। বাইরে বের করে আনা হয় কমিশনের আধিকারিক ও কর্মীদের। সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালকেও। তিনি জানান, এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে কালীগঞ্জের উপনির্বাচনের গণনায় কোনও প্রভাব পড়বে না। এমনকী ফলাফল আপলোডেও সমস্যা হবে না। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় কিছুক্ষণের জন্য কমিশনের ল্যান্ডলাইন পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
আগুন লাগার কারণ এখনও নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক আধিকারিকের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট দফতর। যে অংশে আগুন লাগে, সেটি মূলত ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা বামার লরি-র ডেটা সেন্টার। এই সংস্থার ডেটা সার্ভার রুম থেকেই আগুন ছড়াতে শুরু করে। তবে নির্বাচন কমিশনের দফতর ভবনের চার তলায় হওয়ায়, তাদের অফিসে সরাসরি আগুন পৌঁছায়নি। আগুনে কোনও তথ্যের ক্ষতি হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বামার লরির তরফে এখনও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। তবে দমকল বিভাগের এক অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, আগুনের ফলে কিছু ডেটা পুড়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ দিন হওয়ায় বিল্ডিংয়ে কর্মীর সংখ্যাও ছিল বেশি। ফলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে জরুরি পরিস্থিতির কথা ভেবে খালি করে দেওয়া হয় ভবনের প্রতিটি অফিস। নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে স্পষ্ট বার্তা এসেছে, এই অগ্নিকাণ্ডে গণনা প্রক্রিয়া থেমে যাবে না। যথাসময়েই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে আগুন লাগার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।