ডিএর দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংঘাত চলছে বছরের পর বছর। অবশেষে রাজ্যকে বকেয়া ডিএর একাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তার পরেও DA আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়ল না কালীগঞ্জ উপ নির্বাচনে। সেখানে পোস্টাল ব্যালটে বিরোধীদের থেকে কয়েক মাইল এগিয়ে রইল তৃণমূল। কিন্তু কেন এই ফল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বাম ও বিজেপি শিবিরে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ গড়ে ডিএ আন্দোলন শুরুর পর থেকেই তার সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে বামেরা। আদালতে ডিএ মামলা লড়েছেন বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কর্মসূচিতে অরাজনৈতিক ভাবে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু তার পরেও পোস্টাল ব্যালটে তৃণমূলকে টক্কর দিতে পারল না বিরোধীরা।
এদিন ভোটগণনা শেষে প্রকাশিত হয় পোস্টাল ব্যালট গণনার ফল। যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা ন্যস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য ভোট দিতে আসতে পারেন না তাঁরা পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান করেন। এদিন পোস্টাল ব্যালট গণনার ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় মোট ৯৫৪টি বৈধ ব্যালট গণনা হয়েছে। তার মধ্যে ৫৮০টিই পেয়েছে তৃণমূল। ২৮৬টি পেয়েছে বিজেপি। আর রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএর লড়াই যারা আদালতে লড়ল সেই বাম – কংগ্রেস পোস্টাল ব্যালটে পেয়েছে মাত্র ৮৬টি ভোট।
কিন্তু এত আন্দোলনের পরেও কেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তৃণমূলের পক্ষেই ভোট দিলেন, তা নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের একাংশের মতে, পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিলে ভোট গোপন থাকে না। কে কাকে ভোট দিয়েছেন তা জানা যায়। এই প্রতিহিংসাপ্রবণ সরকারের জমানায় বিরোধীদের ভোট দিয়ে নিজের বিপদ বাড়াতে চান না সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ। অন্য একাংশের মতে, মুসলিম অধ্যুষিত কালীগঞ্জে বহু মুসলিম যুবক – যুবতী OBC সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে চাকরি পেয়েছেন। সংরক্ষণ বাতিল হলেও তাদের চাকরি বাতিল হয়নি। তারা তৃণমূলকেই ভোট দিয়ে থাকতে পারেন।