কদিন আগেই প্রাক্তন প্রেমিক সায়ন্ত মোদকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। যদিও তা মূলত হয় কিরণ মজুমদারকে ঘিরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবার দেবচন্দ্রিমাকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, বিয়ে-সন্তানের পর অভিনয় জগত থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু দিদি নম্বর ১-এ এসে মেয়ের প্রেমিকাকে নিয়ে এসব কী বললেন অভিনেত্রীর মা?
জি বাংলার তরফে শেয়ার করা হয়েছে দিদি নম্বর ১-এর প্রোমো। যেখানে রচনাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘দেবচন্দ্রিমা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এখন যেটা দরকার সেটা হচ্ছে সু-পাত্রের।’
আর এতে দেবচন্দ্রিমার মা যে জবাব দেন, তাতে হেসে ফেলেন রচনাও। অভিনেত্রীর মা বলেন, ‘ওরে বাবা ও যেগুলো পছন্দ করে, সেগুলো সব ফেল…’! নিজেকে সামলাতে পারেননি দেবচন্দ্রিমাও। মায়ের কথা শুনে বেশ অপ্রস্তুতে পড়ে যান। সঙ্গে হেসে পড়েন গড়িয়ে।
কেরিয়ারের শুরুর দিকেই দেবচন্দ্রিমার প্রেম ছিল সায়ন্ত মোদকের সঙ্গে। একসঙ্গে ভ্লগ বানানো থেকে শুরু করে, মলদ্বীপ ভ্রমণ, সবটাই হয়েছিল। তবে বছরখানেক প্রেম করার পর, দুজনের পথ আলাদা হয়। জানা যায়, রীতিমতো দেবচন্দ্রিমার গায়ে হাত তুলতেন সায়ন্ত। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপ ঘুরে এসে একটা টাকাও দেননি দেবচন্দ্রিমাকে। শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের পর, আলাদা হন দেবচন্দ্রিমা।
এরপর দেবচন্দ্রিমার নাম জড়িয়েছিল রিজওয়ান রব্বানি শেখের সঙ্গে। যদিও এই প্রেমে কখনোই সিলমোহর দেননি তাঁরা। তবে সাঁঝের বাতি করার সময় দুজনকে নিয়ে নানা ফিসফাস ছিল টলিপাড়ার অন্দরেও। এখানেই শেষ নয়, কদিন আগে ঘিবলি আর্টে মুখ ঢেকে এক পুরুষের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন দেবচন্দ্রিমা। যাতে বোঝা যায়, নায়িকার জীবনে কেউ তো একটা আছে! যদিও তাঁর পরিচয় নিয়ে টানটান রহস্য। এমনকী, গতকালও এক পুরুষের হাতের ছবি আর নিজের হাত পাশাপাশি রেখে, দুটো পাসপোর্ট দেখান। এখানেও গোপন রাখা পরিচয়।
প্রসঙ্গত, দেবচন্দ্রিমা ইতিমধ্যেই অভিনয় করেছেন সাঁঝের বাতি, সাহেবের চিঠি, পরিণীতা সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে। হোমস্টে মার্ডার নামক একটি সিরিজেও অভিনয় করেছেন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘বিভীষণ’ সিরিজ।