অভিনেতা-পরিচালক পুনীত ইসার সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সলমন খানের উপর চলা হিট অ্যান্ড রান কেস নিয়ে কথা বলেছেন। 'গর্ভ' ছবিতে সলমনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন পুনীত। সেই সময় ভাইজানের ২০০২ সালের হিট অ্যান্ড রান কেসের অশান্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, এই ঘটনার পর সলমন খুব বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
পুনিত ইসার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে আলাপচারিতায় ২০০৪ সালে 'গর্ব: প্রাইড অ্যান্ড অনার' ছবিতে সালমানকে পরিচালনা করার সময়ের কথা বলেন। এই সময়েই কুখ্যাত হিট অ্যান্ড রান মামলায় জড়িয়ে পড়েন সলমন। আইনি লড়াইয়ের চাপ এবং মিডিয়ায় আসা ক্রমাগত নেগেটিভ রিপোর্টিংয়ের মাঝেও, সলমন খান বাইরের চাপকে তাঁর কাজের উপর প্রভাব ফেলতে না দিয়ে মন দিয়ে শ্যুটিং করেছিলেন।
সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে পুনীত ইসার জানান যে, গোটা ঘটনা সলমন খানকে বেশ বিরক্ত করে তুলেছিল। তবে সব ভুলে থাকতে, পরিবারের নির্দেশে কাজে ম দিয়েছিলেন। এমনকী, সেই সময় সলমনের বাবা ও চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের সঙ্গে হওয়া কথোপকথনের কথাও স্মরণ করেন পুনীত। বলেন, ‘স্পষ্টতই ওই ব্যক্তি (সালমান) বিরক্ত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি কাজ শুরু করবেন এবং এতে মনোনিবেশ করবেন। সেলিম সাহেব মনে করেন, সলমনের জীবনের সেই পর্যায়ে তাঁর শুধু কাজ করা উচিত। সেলিম সাহেব আমাকে বলেছিলেন সলমনকে কাজে ব্যস্ত থাকতে বলতে, এবং এটি তার পরিবারের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত ছিল। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল এবং তিনি সেটাই করেছিলেন।’
পুনীত এমনকি এও স্মরণ করেছেন যে, চারদিকে এত নেতিবাচকতা থাকা সত্ত্বেও সলমন খান তাঁর কাজটা করেছিলেন সম্পূর্ণ মন দিয়ে। বলেন, ‘সেটে তার মনোবল খুব ভালো ছিল। তিনি একজন পেশাদার। ওর একটা কমফোর্ট জোন আছে, ও যেখানে কাজ করে, এসে ওয়ার্ক আউট করে শুটিং করবে।’
হিট অ্যান্ড রান মামলা সম্পর্কে
২০০২ সালে বান্দ্রায় ফুটপাথবাসীদের উপর দিয়ে এসইউভি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। সেই সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৫ সালে বম্বে হাইকোর্ট সালমানকে বেকসুর খালাস করে দেয়। বিচারপতি এ আর জোশী বলেন, ৪৯ বছর বয়সী অভিনেতাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না কারণ প্রসিকিউশন সমস্ত ক্ষেত্রে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বম্বে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, সলমন খান যে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি তিনিই চালাচ্ছিলেন, তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।