বাসে ফেরার পথেই আলাপ হয়েছিল যুবকটির সঙ্গে। তখনই মোবাইল নম্বর বিনিময় হয়ে যায়। এর পর থেকেই নাকি ঘন ঘন কথাবার্তা চলত দুজনের। অবশেষে কয়েকদিনেই প্রেম জমে ক্ষীর হয়। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে দেখা করার পালা। কিন্তু সপ্তাহখানেকও টিকল না সেই প্রেম। প্রেমিকার হবু বৌদির সন্দেহ হওয়ার ভেস্তে গেল প্রেম। উত্তমমধ্যম মার খেলেন যুবক। কোচবিহার বাসস্ট্যান্ডের জনসমক্ষে তাঁকে বেদম ধোলাই দিয়ে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন - বাংলাদেশী সন্দেহে বাংলার শ্রমিকদের পরপর আটক, ওড়িশা সরকারকে কড়া চিঠি দিল নবান্ন
ঠিক কী ঘটেছিল?
দুই সন্তানের মা পায়েলের (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে বাসে ফেরার পথে দেখা হয়েছিল প্রতীমের (নাম পরিবর্তিত)। তখনই মোবাইল নম্বর বিনিময় হয়েছিল দুজনের। স্বামীর সঙ্গে নানা বিষয়ে অশান্তির জেরে পায়েল তাঁর বাপের বাড়ি এসে থাকতেন। মোবাইল নম্বর বিনিময়ের পরেই দুজনের ঘন ঘন কথা বলা শুরু হয়। পরিবারের লোকজন তা দেখে সন্দেহ করেন। তক্কে তক্কে ছিলেন পায়েলর হবু বৌদি পৃথা (নাম পরিবর্তিত)। প্রেমের বয়স এক সপ্তাহ গড়ানোর আগেই পায়েলের সঙ্গে ফালাকাটার এক হোটেলে গিয়ে দেখা করেন প্রতীম। সেখানে কয়েক রাত কাটান দুজনে। এই ঘটনার পর পায়েল বাড়ি ফিরতেই তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পৃথা পায়েল সেজে শুরু করেন প্রতীমের সঙ্গে কথা বলা।
পাচার করার পরিকল্পনা?
পুলিশের কাছে পৃথার দাবি, ওই যুবক নানা মন ভোলানো কথা বলতেন। বাইরের রাজ্যে কাজে যাওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। পায়েলকে কেরলে কাজ করতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল পৃথার। সেই কথামতো দুজনের দেখা করার ব্যাপার ঠিক হয়। স্থান হিসেবে ঠিক হয় কোচবিহার বাসট্যান্ড।
আরও পড়ুন - সাইবার অপরাধ, ভুয়ো খবরে লাগাম টানতে শাহকে চিঠি মমতার, চাইলেন কড়া পদক্ষেপ
বেধড়ক মার যুবককে
সেখানেই পৌঁছেই ফ্যাসাদে পড়েন প্রতীম। পায়েলের দাদা ও হবু বৌদিকে দেখেই ভয় পেয়ে যান তিনি। দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে যান। ফেটে যায় মুখ। এর পর তাঁকে পাকড়াও করে উত্তম মধ্যম ধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বক্সিরহাটের পুলিশ আপাতত তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। যুবকটির আদতে কী উদ্দেশ্য ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।