বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সেখানে গেলে তাঁর কনভয় ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কালো পতাকা দেখান কর্মীরা। কেউ কেউ ঝাঁটা নিয়েও হাজির হন। এমনকী, মন্ত্রীর গাড়িতে ইট, লাঠি দিয়ে হামলা চালান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে কর্মীদের। ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক প্রাক্তন ব্লক সভাপতি
এই ঘটনায় মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমদ হোসেন শেখের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সিদ্দিকুল্লা। তাঁর অভিযোগ, আহমদের হোসেনের অনুগামীরাই তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন। তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, ঘটনায় তাঁর গাড়িতে থাকা ছ’জন জখম হয়েছেন। তিনি নিজে হাতে চোট পেয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আগে সভাস্থল ঘুরে দেখতে এদিন সকাল ১০টা নাগাদ মালডাঙা এলাকায় যান মন্ত্রী। কিন্তু গাড়ি থেকে নামতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। কিছু মহিলা তীব্রভাবে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এগিয়ে এলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে।
এরপর মন্ত্রী গাড়িতে উঠে অন্য এক কর্মসূচিতে অংশ নিতে কুসুমডাঙার দিকে রওনা দেন। কিন্তু সেখানেও তাঁর কনভয় থামিয়ে ফের বিক্ষোভ দেখানো হয়। একাধিকবার রাস্তায় কনভয় আটকে পড়ে। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরেই চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা যদিও তৃণমূলেরই একাংশ। মন্ত্রীর অভিযোগ, এই গোটা ঘটনার পেছনে রয়েছেন মন্তেশ্বরের পঞ্চায়েত সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ। তিনি বলেন, দলের কর্মীদের হাতেই বারবার অপমানিত হচ্ছেন। এটা চলতে থাকলে দল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাববেন। তাঁর এই মন্তব্যে স্পষ্ট, দলের অন্দরের ক্ষোভে কতটা বিরক্ত তিনি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনাটি তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিস্তারিত জানাবেন। অন্যদিকে, তৃণমূল কর্মীদের একাংশের এমন আচরণে অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলে।