একসঙ্গে সাতটি কুকুরছানার পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত জয়রামপুর মোড়ে। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্থানীয় ক্লাব ভবনের বারান্দায় থাকা ওই নিরীহ প্রাণগুলোর এমন নির্মম পরিণতিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, তীব্র নিন্দায় সরব পশুপ্রেমী মহল।
আরও পড়ুন: পাখি মারার বন্দুক দিয়ে কুকুরকে গুলি করে হত্যা, সরব পশুপ্রেমীরা, গ্রেফতার ২
জানা গিয়েছে, জয়রামপুর মোড় এলাকার অগ্রগামী অ্যাথলিট ক্লাবের দোতলায় এক মা কুকুর ও তার সাতটি এক মাস বয়সি ছানা ছিল। বৃষ্টি-জল থেকে বাঁচাতে তাদের সেখানেই রাখা হয়েছিল স্থানীয় পশুপ্রেমী সংস্থা স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ দল-এর উদ্যোগে। সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কন্যানগরের পুষ্পিতা কর্মকার দাস এবং তাঁর সহযোগীরা কুকুরগুলোর চিকিৎসা ও দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষও সারমেয়দের আশ্রয়ের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু শনিবার সকালে ক্লাবের বারান্দায় পৌঁছেই দেখা যায় ভয়াবহ দৃশ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সাতটি ছানার নিথর দেহ। অভিযোগ, প্রত্যেকটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একাধিক ছানার মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। বারান্দার মেঝে রক্তে ভেজা। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে মা কুকুরটিও। তার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার পরেই সেখানে পৌঁছান সংস্থার সদস্যরা। তারা ক্ষুব্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই পাশবিকতার নিন্দায় সরব হয়েছেন। এই ঘটনায় পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃত ছানাগুলোর দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। আশপাশের বাড়ি ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয়দের একটাই প্রশ্ন এমন নিষ্ঠুর কাজ কীভাবে করতে পারে কেউ? মা কুকুরটির চিকিৎসা চলছে অন্যত্র। সেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার জেরে কেবল পশুপ্রেমীরাই নন, ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন সকলে।