বেডরুমকে শান্তিময় ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর রাখার জন্য কিছু ভুল এড়িয়ে চলা উচিত সবসময়। এইসব ভুলে দাম্পত্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। মানসিক অশান্তিও হতে পারে।
বেডরুমে ফেং শুই মেনে এড়িয়ে চলুন ৭ ভুল
১. বিছানার দিকে মুখ করে আয়না রাখা - বেডরুমে আয়না ব্যবহার করা গেলেও, সেটি যেন সরাসরি বিছানার দিকে মুখ করে না থাকে। ফেং শুই অনুযায়ী, আয়না শক্তিকে প্রতিফলিত করে এবং এটি ঘুমানোর সময় অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে বা সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব আসতে পারে বলে মনে করা হয়।
২. বিছানার নিচে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা জঞ্জাল রাখা - বিছানার নিচের স্থানটি সবসময় পরিষ্কার ও খালি রাখা উচিত। এর নিচে বাক্স, জুতো বা পুরনো জিনিসপত্র রাখলে শক্তির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা আপনার ঘুম এবং মানসিক স্থিতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই স্থানের জঞ্জাল অবচেতন মনে অসম্পূর্ণ কাজ বা উদ্বেগের প্রতীক।
৩. "কফিন পজিশন"-এ বিছানা রাখা - বিছানাকে এমনভাবে রাখা উচিত নয় যাতে আপনার পা সরাসরি দরজার দিকে মুখ করে থাকে। ফেং শুই-এ এটিকে "কফিন পজিশন" বলা হয় এবং এটি খারাপ শক্তি ও দুর্বল স্বাস্থ্যের প্রতীক। বিছানা সবসময় এমনভাবে রাখা উচিত যাতে আপনি বিছানায় শুয়ে দরজা দেখতে পান, কিন্তু দরজার সঙ্গে এক সরলরেখায় না থাকে।
৪. বেডরুমে অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক্স রাখা - টেলিভিশন, কম্পিউটার বা এমনকি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন বেডরুম থেকে সরিয়ে ফেলুন। এই ডিভাইসগুলি থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড এবং এদের উজ্জ্বল আলো বিশ্রামের শক্তিকে ব্যাহত করে, ফলে ঘুমের মান খারাপ হয়। বেডরুমকে ঘুম ও বিশ্রামের জন্য পবিত্র স্থান হিসেবে ব্যবহার করুন।
(আরও পড়ুন - ট্রাম্পের নজরে 'নোবেল শান্তি' এদিকে, বাংলার পুজোয় ট্রাম্প-রূপী অসুর! ঠিকানা…
আরও পড়ুন - তামিলনাডু পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জনের ময়নাতদন্ত শেষ, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা CM স্ট্যালিনের)
৫. বিছানার উপরে সিলিং বিম বা ভারী বস্তু থাকা - বিছানার ঠিক উপরে সিলিং বিম, ফ্যান বা ভারি কোনো ঝাড়বাতি থাকলে সেটি এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে, যাকে "বিষাক্ত তীর" বলা হয়। এটি মানসিক চাপ এবং স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে। সম্ভব হলে বিছানা সরিয়ে অন্য স্থানে রাখুন।