বাংলার বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের মান-সম্মান বাঁচালেন রিঙ্কু সিং। মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলার বিরুদ্ধে যেখানে ১৯৮ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, সেখানে একাই ৭৯ রান (অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশের মোট রানের প্রায় ৪০ শতাংশ) করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) তারকা। যে ইনিংসটা না থাকলে মারাত্মক চাপে পড়ে যেত উত্তরপ্রদেশ।
মঙ্গলবার ইডেনে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। মন্ত্রী মশাইয়ের সেই সিদ্ধান্ত যে একেবারে সঠিক ছিল, তা প্রমাণ করেন বাংলার বোলাররা। স্কোরবোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই উত্তরপ্রদেশের দুই ওপেনারকে (আঞ্জেনেয়া সূর্যবংশী এবং মাধব কৌশিক) আউট করে দেন। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উত্তরপ্রদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রিয়ম গর্গ এবং অধিনায়ক করণ শর্মা।
কিন্তু বেশিক্ষণ টানতে পারেনি প্রিয়ম ও করণের জুটিতে। উত্তরপ্রদেশের স্কোর যখন ২৬ রান, তখন করণকে আউট করে দেন ইশান পোড়েল। তারপর ক্রিজে আসেন রিঙ্কু। প্রিয়মের সঙ্গে দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। কিন্তু অর্ধশতরান করার পর প্রিয়ম (৫৩ রান) আউট হয়ে যান। সেইসময় উত্তরপ্রদেশের স্কোর ছিল চার উইকেটে ১১৫ রান।
তারপর তো রিঙ্কু ছাড়া উত্তরপ্রদেশের কোনও ব্যাটার দাঁড়াতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ১৯৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ। ১১৮ বলে ৭৯ রান করেন রিঙ্কু। স্ট্রাইক রেট ছিল ৬৬.৯৫। ১১ টি চার মারেন রিঙ্কু। যিনি গত বছর থেকে অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন। উত্তরপ্রদেশের ক্রাইসিস ম্যান হয়ে উঠেছেন। যখনই দল বিপদে পড়েছে, তখনই ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সব ইনিংস খেলেছেন।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার পাঁচটি উইকেট নেন ইশান। ১৭ ওভারে ৩৫ রান দেন। ১৯ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন প্রীতম চক্রবর্তী। শাহবাজ আহমেদ দুটি উইকেট পান (৭.৫ ওভারে ২০ রান)। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর চার উইকেটে ২৯ কান। ক্রিজে আছেন প্রীতম এং সায়নশেখর মণ্ডল। উত্তরপ্রদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তারকা শিবম মাভি। যিনি গত বছর পর্যন্ত কেকেআরে খেলতেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।