ভারত সফরের ছাড়পত্রের অনুমতি চেয়ে পিসিবি ২৬ জুন পাক সরকারকে চিঠি লিখেছিল। আসলে বর্তমানে দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে ভারত সফরের জন্য সরকারের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।
ভারতে সফরের জন্য সরকারের দ্বারস্থা হয়েছে পিসিবি।
অক্টোবর-নভেম্বরে ওডিআই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসার জন্য এবার সরকারের দ্বারস্থ পিসিবি। সরকারের অনুমতি চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ মন্ত্রনককে চিঠি লিখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই চিঠির মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছে, পাকিস্তান দলকে সরকার ভারত সফরের অনুমতি দিচ্ছে কিনা! এবং যদি দেওয়া হয়, তবে বাবর আজমরা যে পাঁচটি ভেন্যুতে ম্যাচ খেলবে, সেইগুলি নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনও সংশয় আছে কি না! পাশাপাশি নিরাপত্তা থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য পিসিবি যদি প্রতিনিধি দল ভারতে পাঠায়, সেই বিষয়েও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
পিসিবি ২৬ জুন একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে চিঠিটি লিখেছিল। কারণ বর্তমানে দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে ভারত সফরের জন্য সরকারের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। সরকারের প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে কোনও নির্ধারিত সময়সীমা নেই। তবে সরকারী ছাড়পত্র ছাড়া ভারত সফর করতে পারবে না পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। পিসিবি সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রীড়া সূচিও ভাগ করে নিয়েছে। ১৫ অক্টোবর আমদাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে মেগা ম্যাচ সহ পাঁচটি শহরে মোট ন'টি লিগের ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান।
পিসিবি-র তরফে ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানানো হয়েছে, ‘গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপের ক্রীড়া সূচি ঘোষণার পরপরই, আমরা আমাদের পৃষ্ঠপোষক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শেহবাজ শরিফকে আন্তঃপ্রাদেশিক সমন্বয় (আইপিসি) মন্ত্রকের মাধ্যমে চিঠি লিখেছিলাম। এর পাশাপাশি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র এবং বিদেশ মন্ত্রককেও চিঠি লিখে ভারতে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্রের অনুরোধ জানিয়েছিলাম।’
পিসিবি আরও যোগ করেছে, ‘ভারত সফরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি আমাদের ম্যাচগুলি যে ভেন্যুতে খেলব, সেইগুলির অনুমোদন করার সিদ্ধান্তও পাকিস্তান সরকার নেবে। আমাদের সরকারের রায়ের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং যা পরামর্শ দেওয়া হবে, সেটা অনুসরণ করব। এটি সম্পূর্ণ ভাবে সরকারের উপর নির্ভর করছে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আগে যদি ভেন্যুগুলি পরিদর্শন করা এবং ইভেন্ট আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য ভারতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তবে এটি সম্পূর্ণ ভাবে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক জটিলতার কারণে দুই দল ২০০৮ সালের পর কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি। আইসিসি টুর্নামেন্ট এবং এশিয়া কাপেই তারা একমাত্র একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৬ সালে শেষ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে এসেছিল পাকিস্তান। ফের ৭ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতেই তারা আবার ভারতে আসবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।