বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ইংল্যান্ডকে বড় ধাক্কার হাত থেকে বাঁচালেন কেন, জিতল ডাচরাও

ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দুর্বল অ্যান্ডোরা বিরুদ্ধেও কোনও মতে জিতল ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনসহ ইংল্যান্ডের ফুটবল ম্যানেজার পুরো দলই নামিয়ে ছিলেন অ্যান্ডোরার বিরুদ্ধে। কিন্তু যে ফুটবলটা আশা করা হয়েছিল সেটা তাঁরা উপহার দিতে পারলেন না দর্শকদের। বলা ভালো, সদ্য বুন্দেসলিগা জিতে ট্রফির খরা কাটানো হ্যারি কেনই কোনও মতে মান বাঁচাল ইংল্যান্ডের, নাহলে অ্যান্ডোরার বিপক্ষেও জয় কঠিন হয়ে যেত তাঁদের। অন্য ম্যাচে অস্ট্রিয়া এবং নেদারল্যান্ডস সহজেই জিতল।আরও পড়ুন -‘সিতারে জামিন পর’-র প্রিমিয়রে সচিন! আমিরের বাড়িতে লিটল মাস্টারের নামে স্লোগান শুরুইংল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার নিজের ৭২তম আন্তর্জাতিক গোলটা করলেন দেশের জার্সিতে। তাতেই অ্যান্ডোরার বিরুদ্ধে জিতলেও থমাশ টুচেলের দলের খেলায় একদমই খুশি হতে পারেননি সমর্থকরা। তবে থমাশ টুচেল ইংল্যান্ডের ম্যানেজার হিসেবে এই নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতলেন কোনও গোল না খেয়েই। তবে যেটা খারাপ বিষয় সেটা হল, যে দলের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড খেলতে নেমেছিল সেই অ্যান্ডোরার বিশ্বফুটবল ক্রমতালিকায় স্থান ১৭৩ নম্বর। অর্থাৎ ভারতেরও পরে, আর তাঁদের বিরুদ্ধেই জিততে কিনা কালঘাম ছুটে গেল ইংরজেদের। ম্যাচের ৫০ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন হ্যারি কেন। কোল পালমার থেকে জুডে বেলিংহ্যাম, ম্যাচে অধিকাংশ ইংরেজ তারকাই খেলেন।ম্যাচ শেষে তাই ইংল্যান্ড কোচ বলেই দিলেন, ‘আমি দলের খেলায় একদমই খুশি নই। আমরা পুরো ছন্দটাই হারিয়ে ফেলেছিলাম, যেটা আর পরে ফিরে পাইনি। আমাদের খেলা একদমই ভালো হয়নি। আমাদের মানতেই হবে যে এই ধরণের ফুটবল ইংল্যান্ড ফুটবলারদের থেকে কেউ আশা করে না। আমি শেষ ২০ মিনিটে সব থেকে বেশি চিন্তায় ছিলাম, কারণ শেষদিকে ফুটবলারদের মনোভাব আমার ঠিক ভালো লাগেনি। কারণ মধ্যে খেলার প্রতি তেমন গুরুত্ব বোধ লক্ষ্য করতে পারিনি, ভুলে গেলে চলবে না এটা কিন্তু বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ ছিল ’।এদিকে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেলসিঙ্কিতে ২-০ গোলে জিতল নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ছয় মিনিটেই মেমফিস ডিপায় গোল করে ডাচদের এগিয়ে দেয়। এরপর ২৩ মিনিটে গোল করে ডাচদের ব্যবধান আরও বাড়ান দামফ্রিস। সেই গোলেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নিল ডাচরা। অন্যদিকে রোমানিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল অস্ট্রিয়া। মার্সেল সাবিতজার এবং মাইকেল গ্রেগোরিসচ গোল করেন অস্ট্রিয়ার হয়ে।