হেরেই চলেছে ইস্টবেঙ্গল। পুরো দলটাই যেন বড় বেশি আগোছালো। কারও মধ্যে কোনও বোঝাপড়া নেই। যার খেসারতও ইস্টবেঙ্গলকে দিতে হচ্ছে ম্যাচ হেরে। রক্ষণের হাল যতটা বেগতিক, ততটাই তথৈবচ দশা আক্রমণ ভাগের। মাঝমাঠের মধ্যেও নেই কোনও সামঞ্জস্য। এর পরেও কী ভাবে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখে ইস্টবেঙ্গল? পেনাল্টি পেয়ে, সেটা মিস করছে। তাও একবার নয়, রিটেক নেওয়ার সুযোগ পেয়ে দ্বিতীয় বারও পেনাল্টি মিস করেন ক্লেটন। খেলার শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে একটি গোল তিনি করেছিলেন বটে, তবে ততক্ষণে তিনি খলনায়ক হয়ে উঠেছেন। কারণ প্রথম পেনাল্টিটা মিস করার পরেই তো ফের গোল হজম করতে হয় লাল-হলুদকে। সেই পেনাল্টি থেকে ক্লেটন যদি গোল মিস না করতেন, তবে খেলার ফল হয়তো অন্য রকম হতে পারত!
১-২ হারল ইস্টবেঙ্গল
ঘরের মাঠে জঘন্য ফুটবল খেলল ইস্টবেঙ্গল। স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারছেন না, ডিফেন্ডাররা প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারছেন না। দলটার মধ্যে ছন্নছাড়া ভাব। ক্লেটন সিলভার মতো প্লেয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পেনাল্টি মিস করে বসল। এর পর কেরালা ১০ জন হয়ে গেলেও, হেলদোল দেখা যায়নি লাল-হলুদের। শেষ পর্যন্ত ফের পেনাল্টি পেয়ে কোনও মতে একটি গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। এভাবে পারফরম্যান্স করলে অন্তত আইএসএলের ম্যাচ জেতা কঠিন হবে লাল-হলুদের জন্য।
গোওওওওওললললল… পেনাল্টি থেকে ১-২ করলেন ক্লেটন
ফের পেনাল্টি নিতে এসেছিলেন ক্লেটন। এবার অবশ্য মিস করেননি। বল গোলেই রাখেন। ১-২ করল ইস্টবেঙ্গল। তবে সমতা ফেরানোর জন্য আর কোনও সময় নেই। ক্লেটনের গোলের সঙ্গে খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেল।
ফের পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল
৯০+৭- সন্দীপ হ্যান্ডবল করায় খেলার শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল।
সাত মিনিট ইনজুরি টাইম
ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারেন না। পেনাল্টি পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেন না। ডিফেন্ডারদের দশাও তথৈবচ। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল হজম করে। এর পর সাত মিনিট ইনজুরি টাইমে যে তারা ২ গোল করে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বে, এমন ভাবাটাও বোধহয় বোকামি।
গোল করেই লালকার্ড দেখলেন দিয়ামান্তাকস
৮৯ মিনিট- গোল করার পর জার্সি খুলে দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখেন দিয়ামান্তাকস। ফলে লালকার্ড হয়ে যাওয়ায়, তাঁকে মাঠ ছাড়তে হল। ১০ জন হয়ে গেল কেরালা।
গোওওওওললললল…. ২-০ করে দিল কেরালা
৮৮ মিনিট- কেরালার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন দিয়ামান্তাকস। সেই ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ভুলেই গোলটি হয়। ওপেন গোলের সামনে বল স্ট্রাইকারের পায়ে বল তুলে দেয় তারা।
দ্বিতীয় বার পেনাল্টি মিস করলেন ক্লেটন
৮৫ মিনিট- ক্লেটন সিলভা আবার পেনাল্টি মারেন। কিন্তু জঘন্য, দুর্বল শট। সহজেই বাঁচিয়ে দিলেন কেরালার কিপার সচিন সুরেশ।
পেনাল্টি মিস, দ্বিতীয় বার নেওয়ার সুযোগ
৮৪ মিনিট- ক্লেটন সিলভা পেনাল্টি নেন। কিন্তু তা সেভ করে দেন সচিন সুরেশ। তবে, রেফারির দাবি, সচিন পেনাল্টি নেওয়ার আগে লাইনের বাইরে চলে এসেছিলেন এবং তাই ফের পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ পাবে ইস্টবেঙ্গল।
পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল
৮৩ মিনিট- বল ধরতে গিয়ে কেরালার কিপার সচিন সুরেশ নওরেম মহেশ ফাউল করে বসে। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। আসবে গোল?
হিজাজি মাহেরের অভিষেক লাল-হলুদ জার্সিতে
ফের সুযোগ নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের
৬৯ মিনিচ- মহেশ বলটি বক্সের ভিতরে সুন্দর ভাবে রেখেছিলেন। কিন্তু ক্লেটন সিলভা এবং সিভেরিও দু'জনেই বল হেড করতে ব্যর্থ হন। লাল-হলুদের জন্য আরও একটি সুযোগ নষ্ট।
লাল-হলুদের কাছে বড় সুযোগ ছিল সমতা ফেরানোর
৬১ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের মহেশ একটি পিন-পয়েন্ট ক্রস বাড়ান সিভেরিওকে। তিনি বলটি শক্তিশালী ভাবে হেড করেন ঠিক গোলটি মিস হয়ে যায়। সিভেরিও তাঁর শেষ ১২ ম্যাচে একটিও গোল করেননি। তিনি গোলের জন্য মরিয়া থাকলেও, কাজের কাজটা করে উঠতে পারছেন না।
ভালো সুযোগ নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের
৫৫মিনিট- ভাল সুযোগ তৈরি করেছিল। ক্লেটন সিলভা মাপা শটে বক্সের মধ্যে সিভেরিওকে বল বাড়ান। তবে বলটি মহেশের কাছে পৌঁছে যায়, যিনি বলটি ধরে সুন্দর রান করেন এবং ফাইনাল ফিনিশিং ছাড়া বাকি সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে করেন। এই গোল করতে না পারার রোগটা যে কবে সারবে ইস্টবেঙ্গলের? গোলশোধের ভালো সুযোগ নষ্ট করল লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচের ফিরতে হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরাতে হবে। লাল-হলুদের রক্ষণের হাল কিন্তু বেশ খারাপ। যদি আক্রমণে তারা জোর না দেয়, তবে তাদের কপালে দুঃখ আছে।
বিরতিতে ০-১ পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল
বিরতিতে ইস্টবেঙ্গল ০-১ পিছিয়ে রয়েছে। রক্ষণের ভুলেই প্রথমার্দে গোল হজম কর বসে লাল-হলুদ। তাও ভাগ্যিস কেরালার দ্বিতীয় গোলটি অফসাইডের জন্য বাতিল হয়েছে। তা না হলে কপালে আরও দুঃখ ছিল ইস্টবেঙ্গলের।
চার মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। ১-০ এগিয়ে রয়েছে কেরালা। চার মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
রাফ গেম চলছে
৪০ মিনিট- এটি একটি রাফ গেম খেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আটটি ফাউল করা হয়েছে এবং চারটি হলুদকার্ড দেখানো হয়েছে।
উপপসস… বাতিল কেরালার গোল
৩৪ মিনিট- কেরালা মরশুমের প্রথম ম্য়াচে প্রথমার্ধে গোল পেল। প্রথম গোলটির পর আবার দ্বিতীয়টি প্রায় পেয়ে গিয়েছিল তারা। লাল-হলুদের ভাগ্য ভালো, গোলটি অফ-সাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। তবে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে কেরালা।
গোওওওওওলললল… ১-০ এগিয়ে গেল কেরালা
৩২ মিনিট- আদ্রিয়ান লুনা একটি থ্রু বল খেলেন এবং দাইসুকে সেই বল ধরে দৌড়ে উপরে উঠে, লাল-হলুদের ফাঁকা গোল পেয়ে সহজেই ১-০ করে বেরিয়ে যান। রক্ষণের কেউ আটকাতেই পারেনি দাইসুকেকে। হতাশাজনক ডিফেন্স ইস্টবেঙ্গলের।
হলুদকার্ড দেখলেন কেরালার প্রীতম
২৪ মিনিট- হার্ড ট্যাকেল করে হলুদকার্ড দেখল কেরালার প্রীতম কোটাল।
হলুদকার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের খাবরা
২২ মিনিট- আদ্রিয়ান লুনাকে ফাউল করে হলুদকার্ড দেখলেন হরমনজোৎ সিং খাবরা।
কেরালা তুলনামূলক ভালো খেলছে
২১ মিনিট- কেরালা ভালো খেলছে। কিন্তু যখন ফাইনাল থার্ডে পাসিংয়ের ক্ষেত্রে ঘেঁটে যাচ্ছে তারা। কিছুর অভাব বোধ হচ্ছে। এদিকে ইস্টবেঙ্গল এখনও পর্যন্ত পজিটিভ কোনও আক্রমণ করে উঠতে পারেনি।
ফের কর্নার পেল কেরালা
১৬ মিনিট- কেরালা কর্নার পায়। তবে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল বল ক্লিয়ার করে দেয়। মহেশ প্রতি আক্রমণে ওঠেন। তবে থামিয়ে দেয় কেরালা।
হলুদকার্ড দেখলেন কেরালার প্লেয়ার
১১ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ারকে ফাউল করে কেরালার দানিশ ফারুক হলুদকার্ড দেখলেন।
উইং দিয়ে খেলার চেষ্টা কেরালার, লাল-হলুদর অস্ত্র প্রতি আক্রমণ
১০ মিনিট- কেরালা উইং দিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছে। এবং বল ক্রস করার চেষ্টা করছে তবে গোলের সামনে তাদের আরও তৎপর হতে হবে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল কাউন্টার আক্রমণের উপর নির্ভর করছে।
চলছে শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি
৫ মিনিট- কেরালা একটি কর্নার নেয়। আর সেটা সোজা কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়ে। পাল্টা কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু একটা ভুল পাস পুরো আক্রমণে ওঠাটাই নষ্ট করে দিল।
খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গল-কেরালা ব্লাস্টার্সের মধ্যে ম্যাচ শুরু। লাল-হলুদ কি পারবে ঘরের মাঠে জয়ের পথে ফিরতে?
কেরালা ব্লাস্টার্সের একাদশ
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
আইএসএলে কেরালা ব্লাস্টার্সের অবস্থান
ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় শুরুটা বেশ ভালো হয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্সের। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তারা তিনটিতেই জিতেছে। একটি ড্র করেছে। একটি ম্যাচ হেরেছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে রয়েছে কেরলের দলটি।
লিগ টেবলে লাল-হলুদের অবস্থান
এখনও পর্যন্ত আইএসএলের চার ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। একটি ম্যাচ ড্র করেছে। বাকি দুই ম্যাচ তারা হেরেছে। চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে আপাতত নয়ে রয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাত বাহিনী।
চলতি আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স
মরশুমের শুরুটা ইস্টবেঙ্গল খারাপ করেনি। তাই তাদের নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও ভালো ফলেরই প্রত্যাশায় ছিলেন ইস্টবেঙ্গল সদস্য-সমর্থকরা। আইএসএলের শুরুতে প্রথম ম্যাচ ড্র করলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নেয় লাল-হলুদ। তবে এর পর টানা দুই ম্যাচে হার। মরশুমের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ তারা খেলেছিল বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে। দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও, হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। দীর্ঘ বিরতির পর এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে নেমেও হারতে হয় তাদের। লিড নিয়েও হেরে খালি হাতে ভুবনেশ্বর থেরে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। হোম ম্যাচ হলেও, পুজোর কারণে ভুবনেশ্বরে খেলতে হয়েছিল লাল-হলুদকে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে আজ ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।