নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেললেন চেলসির ফুটবলার জোয়াও পেদ্রো। ফ্লুমিনেন্সের বিরুদ্ধে তিনি জোড়া গোল করলেন, আর সেই সুবাদেই তাঁর ক্লাব চেলসি ম্যাচ জিতে নিল ২-০ গোলে। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিতে ব্রাজিলের দলকে উড়িয়ে ফাইনালে প্রবেশ করল চেলসি। ম্যাচের ১৮ এবং ৫৬ মিনিটের নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল দুটি করেন পেদ্রো। মাত্র ১ সপ্তাহ আগেই তিনি ব্রাইটন থেকে চেলসিতে যোগ দেন।
বুধবার ম্যাচ রয়েছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের হেভিওয়েট দুই দল পিএসজি এবং রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে। সেই ম্যাচের জয়ী দলের বিরুদ্ধেই চেলসি খেলবে ফাইনাল ম্যাচে। অল ইউরোপিয়ান ফাইনালে এই নিয়ে টানা ১২বার ক্লাব বিশ্বকাপ ঢুকবে ইউরোপের কোনও দলে। ২০১২ সালে শেষবার ব্রাজিলের করিনথিয়ানস চেলসিকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল, এরপর চেলসি আবার ২০২১ সালে ক্লাব বিশ্বকাপ জেতে।
প্রথমার্ধে ফ্লুমিনেন্সের রেনের নেওয়া ফ্রি কিক বক্সের ডিফেন্ডারদের হাতে লাগায় পেনাল্টি দেওয়া হলেও তা পরে ফিরিয়ে নেওয়া হয় ভিএআর দেখে। ২৭ মিনিটে হারকিউলিসের শট গোললাইন সেভ করেন মার্ক কুকুরেলা। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে চেলসির মোইসেস কাইসেডোর বাম গোড়ালিতে চোট লাগে। ফ্লুমিনন্সের ফুটবলার কানোর পা থেকে বল নিয়ে নেন জোয়াও পেদ্রো, এরপর তিনি তা বাড়িয়ে দেন পেদ্রো নেতোে উদ্দেশ্য করে। এরপর নেতো ফের বল ক্রস করেন জোয়াওকে উদ্দেশ্য করে, ক্লিয়ারেন্সের চেষ্টা করলেও তা চলে আসে জোয়াও-র পায়ে। প্রায় ২০ গজ দূর থেকেই জোরালো শটে গোল করে চেলসিকে এগিয়ে দেন এই তারকা স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধে ফাকুন্দো বার্নাল চেলসির বক্সের বাইরে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান। এরপর পেদ্রো নেতো বল ধরে বাড়িয়ে দেন কোল পালমারকে, সেখান থেকে বল আসে এনজো ফার্নান্দেজের কাছে। সেখান থেকে আউটসাইড স্টেপে তিনি বল বাড়িয়ে দেন জোয়াও পেদ্রোকে। এরপর ইগনাসিওকে কাটিয়ে ক্রসবারের নিচ থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন চেলসির স্ট্রাইকার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।