মাঠে তখন বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছন পাকিস্তানি বোলার হারিস রউফ। তখন ভারতীয় দর্শকদের দিকে ফিরে বিমান পড়ে যাওয়ার মতো করে ইশারা করেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। এর আগে এই হরিস রউফ অনুশীলনের সময় ভারতীয় ক্রিকেটার এবং সাংবাদিকদের শুনিয়ে শুনিয়ে '৬-০' বলে চেঁচিয়েছিলেন শনিবার। আর গতকাল ম্যাচ যখন পাকিস্তানের হাতের বাইরে, তখনও এই ভুলভাল ইশারা করেন হরিস। তবে গতকাল তাঁর এই কর্মকাণ্ডের জবাব মাঠেই পেয়ে যান হরিস রউফ। দর্শকরা কোহলির নাম নিয়ে হারিসকে পালটা তোপ দাগেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এমসিজিতে হারিসের বলে বিরাটের সেই সোজা মারা 'পুল' শট আজও মনে গেঁথে আছে সবার। টি২০ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে থেকে ভারতকে জিতিয়েছিলেন বিরাট।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপ লিগের সেই ম্যাচে হারের পর থেকে অবশ্য ক্রিকেটে আর মন নেই পাকিস্তানের। একের পর এক বিতর্ক তৈরি করে চলেছে পিসিবি। এই আবহে গতকাল এশিয়া কাপের সুপার ৪ পর্বে ফের একবার ভারতের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। তার আগে গত পরশু দুবাইতে একই সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের অনুশীল অনুষ্ঠিত হয়। দুবাইয়ের সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে দুই দেশের ক্রিকেটারদের অনুশীলন শুরু হয়। ভারতের ক্ষেত্রে এই অনুশীলন ছিল ঐচ্ছিক। এদিকে পাকিস্তানের তরফ থেকে গোটা দলই মাঠে পৌঁছেছিল। সেই অনুশীলন চলাকালীনই হারিস '৬-০' বলে চেঁচাতে থাকেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানিরা দাবি করে, তারা নাকি অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল। তবে নিজেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা অনুশীলনের সময় ফুটবল খেলছিলেন। সেই সময় '৬-০' বলে চেঁচাতে থাকেন হারিস। হাতে ৬টি আঙুল দেখিয়ে ইশারাও করেন। এমনিতেই অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট বিতর্কে ব্যাকফুটে পাকিস্তান ক্রিকেট দল এবং পিসিবি। আজকের ম্যাচেও রেফারি থাকছেন সেই অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে পাকিস্তানি দলের মিডিয়া ম্যানেজার 'পিএমওএ' (প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিশিয়াল এরিয়া)-তে ঢুকে বৈঠকের ভিডিয়ো করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে আইসিসি। এদিকে সেই বৈঠকের আওয়াজন ভিডিয়ো প্রকাশ করে পিসিবি দাবি করেছিল, অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নাকি ক্ষমা চেয়েছিলেন। তবে তেমন কিছুই হয়নি বলে জানা গিয়েছে। হাত না মেলানো নিয়ে বিতর্ক নিয়ে অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট শুধু নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সেই বৈঠকে। অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের ব্যাখ্যা তাঁকে ভেন্যু ম্যানেজার যা বলেছিলেন, তিনি শুধু সেই বার্তাই আঘাকে দিয়েছিলেন। এদিকে হাত না মেলানোর ক্ষেত্রে ভারতের ব্যাখ্যা ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হানায় ২৬ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পর পাকিস্তানের সঙ্গে সৌজন্য-সৌহার্দ্য সম্ভব নয়। এদিকে গতকালও ম্যাচ জেতার পরে কোনও পাক ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত।