বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ সার্ক (সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন) ইস্যুতে ভারতকে খোঁচা দিলেন। এর আগেও বাংলাদেশের তরফ থেকে সার্ক ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছিল। তবে ভারত তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে আজ ইউনুস ফের একবার সেই একই রেকর্ড বাজান। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেন, সার্কের দেশগুলির মধ্যে যেন ভিসা ছাড়াই নাগরিকদের যাতায়ত করতে দেওয়া হয়।
আজ একটি অনুষ্ঠানে ইউনুস আজ বলেন, 'আমি চাই সার্ক পুনরুজ্জিবীত হোক। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ধাঁচে গঠন করা হয়েছিল এই সার্ক-কে। তবে আমাদের এক প্রতিবেশীর এই গঠনতন্ত্র ভালো লাগেনি। তাই সার্ক মৃত সংগঠনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তবে আমার প্রশ্ন কেন এটা মৃত সংগঠন? আমরা তো পারস্পরিক সাহায্যের ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। আমরা একে অপরকে সাহায্য করতে চাই।'
এরপর ইউনুস আরও বলেন, 'ভাবুন, যদি আমাদের সার্কের সংগঠন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো হত। আমরা পাসপোর্ট থাকলেই ভিসা ছাড়াই একে অপরের দেশে যেতে পারতাম। এক দেশের মানুষ অন্য দেশে বসবাস করতে পারত। সেখানে ব্যবসা করতে পারত। এটা কী দুর্দান্ত আইডিয়া ছিল। একেক দেশের লোক অন্য দেশের লোকের সঙ্গে মিশতে পারত। আমরা এখনও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি যাতে আমরা সেই আগের মতো সার্ক সংগঠনকে সক্রিয় করে তুলতে পারি।'
প্রসঙ্গত, গত ২০১৬ সালে উরিতে জঙ্গি হামলার পর থেকে গত ৯ বছরে সার্কের বৈঠক আর হয়নি। এই আবহে কয়েক মাস আগে মাসকটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করে সার্ক ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এদিকে সার্ক ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যেও কথা হয়। এই দুই দেশই বিষয়টি নিয়ে বেশ আগ্রহী।
পরে অবশ্য বাংলাদেশকে ভারত স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দেয়, পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট ধরতে আসবেন না। পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে বলেছিল, 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেকে জানেন যে সার্কের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে কোন দেশ এবং কোন দেশের কাজকর্ম। সন্ত্রাসবাদের বিষয়টাকে যেন সাধারণভাবে না দেখে বাংলাদেশ।'