'যোগই গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।' আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এমনই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বিশাখাপত্তমে ৫ লক্ষ মানুষের সঙ্গে তিনি যোগে অংশ নেন। বিশ্ব শান্তিতে যোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার বিশ্বজুড়ে একাদশতম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপিত হয়েছে।আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে বিশাখাপত্তনমে ২৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যোগে অংশ নেন ৫ লক্ষ মানুষ। আরকে বিচে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও যোগে অংশ নেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাজ্যপাল এস আব্দুল নাজির, উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ এবং রাজ্যের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ। যোগ উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর যোগের থিম হলো ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান হেলথ। ব্যক্তিগত সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিশ্বের সুস্থতার গভীর যোগ রয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ছায়া। হিংস্রতাকে দূরে সরিয়ে অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে যোগাসনই।’
আরও পড়ুন-যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরান থেকে ২৯০ ভারতীয় পড়ুয়া ফিরলেন দেশে, দিল্লির কাছে কী চাইছে তেহরান?
অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে রাজ্যপাল গুরমিত সিংয়ের সঙ্গে ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের আহমেদাবাদের প্রহ্লাদ নগর গার্ডেনে যোগব্যায়াম করেছেন।সেখানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি, বিধায়ক অমিত ঠাকর এবং অন্যান্য সিনিয়র বিজেপি নেতারা।হরিয়ানার ফরিদাবাদের অরুণ জেটলি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট থেকে যোগব্যায়াম সেশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও শনিবার দিল্লির নেহেরু পার্কে যোগব্যায়াম করেছেন। তিনি বলেছেন,'যোগব্যায়াম সীমানা, বয়স, পটভূমি বা ক্ষমতার বাইরে সকলের জন্য যোগের প্রকৃত প্রতিফলন।'
আরও পড়ুন-যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরান থেকে ২৯০ ভারতীয় পড়ুয়া ফিরলেন দেশে, দিল্লির কাছে কী চাইছে তেহরান?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। শুরু তাই নয় তিনি উধমপুরে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের জন্য প্রশংসা করেছেন।রাজনাথ সিং বলেন, 'আপনাদের সাহসিকতা দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। আমি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব এবং সাহসকে স্যালুট জানাই।' তিনি আরও বলেন, 'এই অভিযান কেবল পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার জবাব ছিল না। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে আমরা পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি যে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে মারাত্মক পরিণতি হবে।' শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নন দেশজুড়ে বিজেপির বিধায়ক-নেতারা শনিবার যোগ দিবস উদযাপন করেছেন। তেমনই কলকাতায় জাদুঘরে যোগে অংশ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দিবস পালন নিয়ে একটি প্রস্তাব দেন। যা অভূতপূর্ব সমর্থন লাভ করে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাব সমর্থন করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে গ্রহণ করা হয়।