ভারত যুদ্ধ চায় না। কিন্তু হামলা হলে অত্যন্ত কঠোর জবাব দেবে ভারতীয় সেনা। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আরাঘচির সঙ্গে এক বৈঠকে একথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এদিনের বৈঠকে পুলওয়ামা গণহত্যার কথা উল্লেখ করে একথা বলেন তিনি। জবাবি বিবৃতিতে ইরানের অর্থমন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, ভারত ও ইরানের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে পুরনো। এই সম্পর্ক পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আরও মজবুত হবে।বৃহস্পতিবার ভারত – ইরানের জয়েন্ট কমিশনের বৈঠকে মিলিত হন জয়শংকর ও আরাঘচি। সেখানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আপনি এমন সময় ভারতে এসেছেন যখন ভারত ২২ এপ্রিল জম্মু - কাশ্মীরে হওয়া বর্বর জঙ্গি হামলার জবাব দিচ্ছে। এই হামলার ফলে গত ৭ মে সীমান্তের ওপারে জঙ্গি ঠিকানায় হামলা চালাতে আমরা বাধ্য হয়েছি। আমাদের প্রতিক্রিয় সুনির্দিষ্ট ও পরিমিত। আমাদের পরিস্থিতি খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। কিন্তু আমাদের ওপর সামরিক হামলা হলে সন্দেহাতীতভাবে আমরা তার অত্যন্ত কঠোর জবাব দেব। একজন প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে গোটা পরিস্থিতির নিয়ে আপনার স্বচ্ছ্ব বোধগম্যতা একান্ত জরুরি।এর পর ইরানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ও ইরানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থরক্ষার ভিত্তিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে উষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে চলেছি। আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কও ভালো। তবে নিষেধাজ্ঞার জন্য যতটা ভালো হতে পারত ঠিক ততটা নয়। আশাকরি ভবিষ্যতে আমরা সেই প্রতিকূলতাও কাটিয়ে উঠতে পারব।’বলে রাখি, পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিবেশীরাষ্ট্র হল ইরান। পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।