মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৬০ জন। তবে এই সংখ্যাটা সঠিক নয় বলেই দাবি করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তাঁর দাবি, প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাঁর অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ এড়ানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার তথ্য গোপন করছে।
আরও পড়ুন: ‘আপনি কি যমুনার জল পান করতে পারবেন?’ দূষণ নিয়ে যোগীকে তোপ অখিলেশের
বাজেট অধিবেশনের আগে অখিলেশ যাদব সরকারকে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিসংখ্যান প্রকাশ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার কুম্ভে মারা যাওয়া লোকেদের সংখ্যা গোপন করছে কারণ তারা ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না। মৃতদের পরিবারকে অবশ্যই তাড়াতাড়ি জানাতে হবে এবং একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সবার তথ্য প্রকাশ করা উচিত।’
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। তীর্থযাত্রীদের বিরাট ভিড়ের ফলে বিশৃঙ্খলা ও প্রাণহানি ঘটে। ডিআইজি কুম্ভ মেলা বৈভব কৃষ্ণ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, যে আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে তাদের আত্মীয়রা নিয়ে গিয়েছেন। ৩৬ জনকে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভক্তদের সুবিধার্থে মেলা প্রশাসন হেল্পলাইন নম্বর ১৯২০ চালু করেছে। তিনি আরও জানান, সকাল ১ থেকে ২ টোর মধ্যে আখড়া রুটে প্রচুর ভিড় হয়েছিল। যার ফলে ব্যারিকেডগুলি ভেঙে পড়েছিল। ভিড় এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক ভক্ত পদদলিত হন। প্রশাসন দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য গ্রিন করিডোর করে ৯০ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারমধ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরাও এই ঘটনার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন। দুর্ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য কাজ করছে। তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা এই ঘটনার জন্য যোগী আদিত্যনাথের সরকারের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। এদিকে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও সংসদে ভাষণ দিয়ে প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।