ভারতের প্রতি সুর নরম করার পর এবার চিনের দিকে কৃপাদৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে মরিয়া তিনি। তাই চিনের উপর এবার ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। ট্রাম্প এবার ন্যাটোকে আহ্বান করলেন তাঁর পরিকল্পনা সফল করেন। চিনের অর্থনীতি দুর্বল করে দিতে ন্যাটোকে বললেন, ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাতে। এতে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে চিনের বাণিজ্য প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। যার জেরে রাশিয়ার প্রতি চিনের ‘দরদ’ কমতে পারে বলে ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাটো দেশগুলিকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি ন্যাটোর অধীনস্থ দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে বলেছেন। পাশাপাশি রাশিয়ার উপর বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে। ট্রাম্প এই দিন একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, “আমি রাশিয়ার উপর বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত যখন সমস্ত ন্যাটো দেশ একই কাজ করতে সম্মত হবে। আমিও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব যখন সমস্ত ন্যাটো দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে।"
ট্রাম্পের পোস্ট মোতাবেক," রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার জন্য ন্যাটোর দেশগুলির উচিত চিনের উপরেও ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা। বিষয়টি হাস্যকর হলেও এটি যুদ্ধ বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।"
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার অনুসারে, ন্যাটো সদস্য টার্কি চিন এবং ভারতের পরে রাশিয়ার তেলের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা। রাশিয়ার তেল কেনার সাথে জড়িত ৩২-রাষ্ট্রীয় জোটের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছে হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়া। ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে কোনও অগ্রগতি না হলে মস্কো এবং তার থেকে তেল কেনা দেশগুলি (যেমন চিন এবং ভারত)-র উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়ার পর ট্রাম্পের চিঠিটি এসেছে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।