কলেজ ছাত্রীদের ধর্ষণ, ছাত্রীদের মাদক খাওয়ানো, ভিডিয়ো করা, ব্ল্যাকমেল এবং ধর্মান্তকরণ- মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এমনই ভয়াবহ তথ্য সামনে এসেছে। আর সেইসব ঘটনার মূলে ছিল একটি গ্যাং। ইতিমধ্যে ওই গ্যাংয়ের মাথা ফারহান খান-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাকি তিন অভিযুক্তের এখনও সন্ধান মেলেনি। তাদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় মোট তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণ, অপহরণ, পকসো আইন, ধর্মীয় স্বাধীনতার আইনের মতো বিভিন্ন ধারায় রুজু করা হয়েছে মামলা। তবে ফারহানের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা দেখা যায়নি বলে সূত্রের খবর।
'দিদি ও বোনকে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণের চেষ্টা'
আর সেই পুরো ঘটনাটা যে সামনে এসেছে, সেটার নেপথ্যে আছেন দুই বোন। তাঁরা ভোপালের একটি কলেজে বিটেক নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে জাহাঙ্গিরাবাদের একটি বাড়িতে দিদিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। আর হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল বোনকে। তারপর দু'জনকেই বিয়ে এবং ধর্মান্তকরণের জন্য জোরাজুরি করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় দুই বোনকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: কারও পাসপোর্ট পাকিস্তানের, কারও জন্ম কলকাতায়, ১২ ‘পাকিস্তানি’কে ভারত ছাড়ার নির্দেশ ওড়িশায়
ফারহানের ফোনে মিলেছে ধর্ষণের ভিডিয়ো
সেই নৃশংসতা সেখানেই থামেনি। অভিযোগ উঠেছে যে নিজের গ্যাংয়ের সদস্য আদিল খানের সঙ্গে বোনকে দেখা করিয়ে দিয়েছিল ফারহান। যে আদিল বোনকে ধর্ষণ করেছিল। আর সেই ভিডিয়ো তুলে ধরে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করত এবং যৌন নির্যাতন করত। জোর করে মাদক খাওয়ানো হত। যে ভিডিয়ো ফারহানের ফোনের একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কাঁপুনি ধরিয়ে দেবে ভারতের ‘বন্ধু’ রাশিয়া? হাতে চাইতে পারে জঙ্গিকে- রিপোর্ট
'শহরের কলেজে পড়তে আসা আসা তরুণীদের টার্গেট করা হত'
শুধু তাই নয়, কয়েকজন অভিযোগ করেছেন যে চলন্ত গাড়ির ভিতরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁরা যাতে কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারেন, সেজন্য মাদক খাইয়ে দেওয়া হত। আবার সাহিল খান নামে অপর এক অভিযুক্ত মূলত গ্রাম থেকে শহরের কলেজে পড়তে আসা আসা তরুণীদের টার্গেট করত। লাউঞ্জ এবং পাবে নিয়ে যেত। ভাড়া করা নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে মাদক মিশিয়ে তরুণীদের ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পুরো তৈরি! মিসাইল পরীক্ষার ছবি দেখাল ইন্ডিয়ান নেভি, ঘুম আসবে না পাকিস্তানের
অপর এক অভিযুক্ত আলি খান আবার কলেজ ছাত্রীদের ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে তরুণীদের ধর্ষণের ভিডিয়ো করত আলি। যে ভোপালে নাচের ক্লাস খুলেছিল। সেইসঙ্গে সাদ, আব্রার এবং নাবিল বলে তিনজনও ওই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সাদ তরুণীদের নিয়ে আসত বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত ফারহান, সাহিল ও সাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলি, আব্রার এবং নাবিলের খোঁজে তল্লাশি চলছে।