দেশে স্বঘোষিত ধর্মগুরুদের বারেবারেই যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। আসারাম বাপু, স্বামী নিত্যানন্দ থেকে শুরু করে গুরমিত রাম রহিম সিং। ধর্মগুরুদের কেচ্ছায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নাম। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকার একটি আশ্রমের পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে এক ডজনেরও বেশি ছাত্রী। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজধানীজুড়ে।
আরও পড়ুন-'নিঃসন্দেহে খারাপ খবর কিন্তু...,' ভারত-US সম্পর্কে জোর, প্রধানমন্ত্রীর পাশে ফের শশী
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী ওরফে পার্থ সারথির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা। পুলিশ জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৭ জন ছাত্রী স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, মেসেজে অশ্লীল বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি জোর করে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই ধর্মগুরুকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। তাঁর খোঁজে চলছে জোরদার তল্লাশি অভিযান। জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বসন্ত কুঞ্জ উত্তর থানায় স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করা হয়। তিনি শারদা ইনস্টিটিউটের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য।
আরও পড়ুন-'নিঃসন্দেহে খারাপ খবর কিন্তু...,' ভারত-US সম্পর্কে জোর, প্রধানমন্ত্রীর পাশে ফের শশী
তদন্ত চলাকালীন পুলিশ, শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের ইডাব্লিউএস স্কলারশিপের অধীনে ৩২ জন পিজিডিএম ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড করে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন ছাত্রী অভিযোগ করেছে যে স্বামী চৈতন্যানন্দ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, মেসেজে অশ্লীল বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি জোর করে শারীরিক সম্পর্কের জড়িয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কমিটির কয়েকজন সদস্য এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা ওই ধর্মগুরুর নির্দেশ মেনে নেওয়ার জন্য ছাত্রীদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। একই সঙ্গে ১৬ জন ছাত্রীর পর আরও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দিয়েছে। অন্যদিকে, তদন্তকারীরা শ্রী শারদা ইনস্টিটিউটের বেসমেন্টে একটি ভলভো গাড়ি খুঁজে পেয়েছে। গাড়িতে একটি জাল নম্বর প্লেট ছিল। ওই গাড়িটি যা স্বামী চৈতন্যানন্দ ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে। এরপর, ২৫ আগস্ট একটি পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয় এবং গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়।