'যুদ্ধের' মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না। তবে দীর্ঘ বৈঠকের পর 'দ্বিতীয় পর্যায়ের' শান্তি আলোচনায় রাজি হল ইউক্রেন এবং রাশিয়া। সেই দ্বিতীয় বৈঠকের আগে নিজেদের দেশের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধিরা নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছেন। ইউক্রেনের প্রেসি়ডেন্টের উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে জানাল আরআইএ নিউজ এজেন্সি।
রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কিকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সংবাদসংস্থা স্পুটনিক জানিয়েছে, পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে দ্বিতীয় দফার বৈঠক হবে। মেদিনস্কিকে উদ্ধৃত করে স্পুটনিকে বলা হয়েছে, 'আমরা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে একমত হয়েছি।' তবে বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছে, তাতে নির্দিষ্টভাবে কোনও ইতিবাচক দিক উঠে এসেছে, তে বিষয়ে প্রাথমিক রাশিয়া বা ইউক্রেনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বেলারুশ সীমান্তে গোমেল টাউনে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার মধ্যেই সোমবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে অব্যাহত থেকেছে 'যুদ্ধ'। খারকিভের গভর্নর দাবি করেছেন, রাশিয়ান গোলাগুলিতে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। তিনি বলেন, 'আবাসনের উপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী।' তারইমধ্যে রাশিয়ার সেনাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির বলেন, প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেন ছাড়তে হবে মস্কোর বাহিনীকে। ইউক্রেন সেনার জেনারেল স্টাফ বলেন, ‘রাশিয়ান দখলদাররা আক্রমণের গতি কমিয়েছে কিন্তু এখনও কিছু এলাকায় তারা সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করছে।’
দিনের শুরুতে ইউক্রেনের তরফে দাবি কার হয়, রাশিয়ার প্রায় ৪,৩০০ ফৌজিকে খতম করা হয়েছে। রাশিয়ার ১৪৬ টি ট্যাঙ্ক, ২৭ টি যুদ্ধবিমান, ২৬ টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে। পালটা রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের ৪৭১ জন ফৌজিকে বন্দি করেছে মস্কোর বাহিনী। ৯৭৫ টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস, আটটি যুদ্ধবিমান, সাতটি হেলিকপ্টার এবং ১১টি ড্রোন গুলি করে মাটিতে নামানো হয়েছে। তাছাড়াও ২২৩টি ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সমরযান-সহ আরও ২৮টি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি ক্রেমলিনের।